Logo

সারাদেশ

বান্দরবানে অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ, নতুন সম্ভাবনা

Icon

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৯

বান্দরবানে অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ, নতুন সম্ভাবনা

বান্দরবান জেলা সদরের দুটি অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নত হওয়ার ফলে দুই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি কার্যক্রম এবং আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর উদ্যোগে জেলার বাঘমারা-খানসামা পাড়া থেকে বৌদ্ধ বিহার এবং সুয়ালক বাজার থেকে বঙ্গপাড়া-গণেশ পাড়া পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং অন্যটি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। 

এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন পর এই সড়ক দুটি নির্মিত হওয়ায় তারা অনেক খুশি। পূর্বে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে পাঠাতে পারতেন না, ফলে অনেক সময় ফসল মাঠেই নষ্ট হয়ে যেত। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঘমারা-খানসামা পাড়া এলাকার কৃষকরা চাষাবাদ এবং জুমচাষের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। সড়ক নির্মাণের আগে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় উৎপাদিত ফসল বাজারে পাঠানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা ছিল তাদের। কিন্তু নতুন সড়ক নির্মাণের ফলে কৃষকদের জন্য এটি একটি বড় সুবিধা হয়ে উঠেছে। তারা এখন সহজেই বাজারে তাদের ফসল বিক্রি করতে পারবেন, যা কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।

একইভাবে, সুয়ালক বাজার থেকে বঙ্গপাড়া-গণেশ পাড়া এলাকাতেও কৃষিকাজ একটি প্রধান জীবিকা হিসেবে প্রচলিত। দীর্ঘদিনের সমস্যার পর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় তাদের জীবনমানও পাল্টে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কৃষি পণ্য পরিবহন সহজ হওয়ায় কর্মসংস্থান বাড়বে এবং আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে।

এলজিইডি জানায়, এই দুটি সড়ক নির্মাণের প্রকল্পের ব্যয় প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা। বাঘমারা খানসামা চাকমা পাড়া থেকে ভায়া পর্যন্ত সাড়ে ৭ কিলোমিটার সড়ক এবং সুয়ালক বঙ্গপাড়া থেকে গণেশ পাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং শিগগিরই সড়কটি উদ্বোধন হবে।

বাঘমারা এলাকার বাসিন্দা অংসুই প্রু বলেন, ‘বর্ষাকালে আমাদের খুব কষ্ট হত, কিন্তু নতুন রাস্তা হওয়ায় এখন আর কোনো সমস্যা নেই।’

বঙ্গপাড়া এলাকার বাসিন্দা সমীরণ তংচঙ্গ্যা জানান, ‘এলজিইডি যে উন্নত মানের সড়ক নির্মাণ করেছে, তাতে আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে।’

জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তাসাউর বলেন, ‘এই দুটি সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ হবে। এর ফলে কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের নায্যমূল্য পাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।’

সোহলে কান্তি নাথ/এটিআর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর