ছবি: বায়রাক্তার টিবি-২ (সংগৃহীত)।
যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন সমরাস্ত্র মানববিহীন ড্রোন। ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় ড্রোন ছাড়া যুদ্ধ বা সামরিক অভিযানের কথা চিন্তাই করা যায় না। আর এখানেই বাজিমাত করেছেন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্ক। সামরিক ড্রোন বানিয়ে আমেরিকা, রাশিয়া, চীনসহ গোটা বিশ্বকে তাক লাগাল দেশটি।
তুরস্কের
সামরিক ড্রোন নিয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ‘সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান
সিকিউরিটি (সিএনএএস)’ নামের এক সংস্থা। রিপোর্টে দাবি করা হয়, ২০১৮ সালে আমেরিকা,
চীন ও তুরস্ক যৌথ ভাবে ৪০টি দেশে ৬৯ ধরনের হাতিয়ার যুক্ত ড্রোন বিক্রি করেছিল।
তারপর থেকে বিভিন্ন দেশের নজর পড়ে আঙ্কারার মানববিহীন ড্রোনের উপর।
২০১৮
সালের পর, তুরস্কের ড্রোনের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সিএনএএসের রিপোর্ট
অনুযায়ী, সামরিক ড্রোন বাজারের ৬৫ শতাংশ এখন তুরস্কের হাতে রয়েছে, যেখানে চীনের
অংশ ২৬ শতাংশ ও আমেরিকার রয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ।
লাফিয়ে
বাড়ছে তুরস্কের ড্রোনের চাহিদা। দামে কম ও নিমিষেই হামলা চালানোর ক্ষমতার কারণে
তুর্কি ড্রোনের কদর বাড়ছে। এছাড়া তুর্কি ড্রোন রক্ষণাবেক্ষণও সহজ। যুদ্ধের সময়ে
হামলার পদ্ধতিও ভিন্ন। যা সামরিক কর্মকর্তাদের সহজেই আকৃষ্ট করছে।
চাহিদায়
সবচেয়ে এগিয়ে ‘বায়রাক্তার টিবি-২’ নামের ড্রোন। ২০২২ সালে এই ড্রোন ছয়টি নতুন দেশের
কাছে বিক্রি করেছে তুর্কি সরকার।
ড্রোনটি
৬.৫ মিটার লম্বা এবং ডানা ১২ মিটার প্রশস্ত। এটি ২৭ হাজার ফুট উচ্চতায় ২৭ ঘণ্টা
পর্যন্ত আকাশে থাকতে সক্ষম। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২২০ কিমি।
২০১৪
সালে ড্রোন বিক্রিতে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে ছিল চীন। কিন্তু নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে
বায়রাক্তার টিবি-২ সাফলতা এনে দেয়। এরপরই তুর্কি ড্রোনের জয়জয়কার ছড়িয়ে পড়ে
বিশ্বজুড়ে। আমেরিকা, চীন, রাশিয়া ও ইসরায়েলি ড্রোনের বাজার পেছনে পড়ে।
২০২০
সালের পর থেকে আফ্রিকার বহু দেশে নিখুঁত নিশানায় হামলা করতে সক্ষম বায়রাক্তার টিবি-২
সরবরাহ করেছে তুরস্ক। ক্রেতার তালিকায় ইইউসহ ন্যাটোর ৬ দেশও আছে। পাকিস্তানের
হাতেও আছে তুর্কি ড্রোন।