গাজীপুর ও রংপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের পৃথক ঘটনায় গতকাল বুধবার দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন। উভয় ঘটনায় নিজেদের ৫ সদস্য আহত হয়েছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ।
আমাদের গাজীপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলার শ্রীপুর উপজেলায় পুলিশের গুলিতে আব্দুর রউফ হাওলাদার (৪০) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে পটকা ভাঙ্গারহাট এলাকায় ঘটা বন্দুকযুদ্ধে আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। নিহত আব্দুর রউফ হাওলাদার শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার শিবপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আটটি ডাকাতির মামলাসহ ১৬ থেকে ১৭টি মামলা রয়েছে।
শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জয়নাল আবেদীন জানান, ভোরে ওই এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে পুলিশের টহল গাড়িতে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় ডাকাতদের গুলিতেই আব্দুর রউফ গুলিবিদ্ধ হয়। অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার পর গুরুতর আহত রউফকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলি বিনিময়ের সময় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম মোল্লা ও কনস্টেবল মুস্তাফিজ এবং আনসার সদস্য সুভাষ আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগানসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. সালমা নুর জানান, রউফকে ভোরে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তার বুকে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া পুলিশের আহত দুই সদস্যকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রংপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নগরীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে। গুলি বিনিময়কালে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলিভর্তি পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, বুধবার ভোরে নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে জানতে পেরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা গুলি ছুড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে দুই ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যায়। আহত দুই ডাকাতকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন নামে একজনের মৃত্যু হয়।