• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮

কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে শরিফুল ইসলাম মিঠুকে গ্রেফতার করা হয়

ছবি : সংগৃহীত

অপরাধ

কার্ড জালিয়াতি

গ্রাহকদের কোটি টাকা হাতিয়ে ধরা ‘স্বপ্নের’ পস মেশিন অপরেটর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০১৮

অভিনব কায়দায় কার্ড জালিয়াতি করে গ্রাহকদের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ শরীফুল ইসলাম মিঠু (৩৩) নামে সুপারশপ স্বপ্নের এক পস মেশিন অপরেটর গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

বুধবার সিআইডির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে মিঠু জালিয়াতির কৌশল তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, মেহেরপুরের জেলার গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামের ইয়াজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মিঠু গাংনী ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০০৩ সালে এইচএসসি পাস করে পড়তে যান রাশিয়ায়। সেখানে ইভানোভিচ নামের এক তরুণের কাছে তিনি ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির কৌশল শেখেন। ২০১৩ সালে দেশে এসে কার্ড জালিয়াতি শুরু করেন। ওই বছরই জালিয়াতির দুই মামলায় ১৮ মাস জেলাহাজতেও ছিলেন। শপিংমলের চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করা মিঠু সর্বশেষ কাজ করেন সুপারশপ স্বপ্নের বনানী শাখায়। সেখানে নিজের হাতঘড়িতে বসানো বিশেষ ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকের কার্ডের অভ্যন্তরীণ তথ্য চুরি করতেন। তারপর গ্রাহক যখন পস মেশিনে পিন নম্বর দিতেন মিঠু তখন ‘কৌশলে’ তা দেখে নিতেন এবং গ্রাহক বিল শোধ করে যাওয়ার পর বিলের কপি রি-প্রিন্ট করে তার পিছনে পিন নম্বর লিখে রাখতেন। পরে বাসায় গিয়ে মিঠু তার ডিভাইসের মাধ্যমে কাস্টমারের ব্যক্তিগত তথ্য ভার্জিন কার্ড বা খালি কার্ডে বসিয়ে ক্লোন এটিএম কার্ড তৈরি করতেন। এরপর পরচুলা ও সানগ্লাস ব্যবহার করে বুথ থেকে টাকা তুলতেন- যাতে সিসি ক্যামেরায় ধরা না পড়েন। গ্রাহকরা অভিযোগ করেছিলেন, মিঠু বিলের কপিতে কিছু একটা লিখে রাখতেন। এরই সূত্র ধরে সংশ্লিষ্ট সুপারশপের কর্মকর্তারা মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে গত ৯ মার্চ পালিয়ে যান তিনি। বিষয়টি সিআইডিকে জানানো হলে তারা তার সন্ধানে মাঠে নেমে সোর্সের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডির কাছে কৃতকর্মের কথা অকপটে স্বীকারও করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে স্বপ্নের হেড অব মার্কেটিং আফতাবুল করিম তানিম, হেড অব সেলস সামসুদ্দোহা শিমুল ও মহাব্যবস্থাপক করপোরেট অ্যান্ড সেলস মিজানুর রহমান লিটন উপস্থিত ছিলেন। মোল্যা নজরুল জানান, মিঠুর একটি ব্যাংক একাউন্টে প্রায় ১৫ লাখ টাকার সন্ধান পেয়ে তা জব্দ করা হয়েছে। বাকি টাকা কোথায় আছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। জালিয়াতির অর্থে তিনি বিলাসী জীবনযাপন করতেন। তার একটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। গতকাল তাকে আদালতের মাধ্যমে চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads