• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮
এএসপি মাতলামি করায় গণপিটুনি

রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমিত কুমার চৌধুরী

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

এএসপি মাতলামি করায় গণপিটুনি

  • রাজশাহী ব্যুরো
  • প্রকাশিত ০৫ জুন ২০১৮

মদপান করে মাতলামি করার অভিযোগে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমিত কুমার চৌধুরীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছেই সোপর্দের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া থানা থেকে তাকে অত্যন্ত গোপনে ছাড়িয়ে নিয়ে যান জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা। গত শুক্রবার (১ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর জানাজানি হওয়ার পর পুলিশের এই কর্মকর্তাকে শৃঙ্খলা বহির্ভূত আচরণের অভিযোগে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। তাকে বদলি করা হয়েছে নৌ পুলিশে। তিনি জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এএসপি সুমিত কুমার চৌধুরীর বদলির ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘গত ২৮ মে পুলিশ সদর দফতর থেকে এএসপি সুমিত চৌধুরীকে নৌ পুলিশে বদলির আদেশ আসে। কিন্তু এর মধ্যেই গত কয়েক দিনে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটান তিনি। ফলে শনিবারই তাকে রাজশাহী জেলা থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।’

রাজশাহী মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এএসপি সুমিত চৌধুরীর বিরুদ্ধে অফিসে বসে মাদক সেবন, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা ও অধীনস্থদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করাসহ আরো কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ ছিল। এসব অভিযোগের কারণে তাকে নৌ পুলিশে বদলি করা হয়। বদলির এই আদেশ হাতে পাওয়ার পর আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সুমিত চৌধুরী। এর মধ্যে এসপির সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন।

সূত্র আরো জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুমিত চৌধুরী মদপান করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মাতলামি করছিলেন। এ সময় কয়েকজন পথচারী ও স্থানীয় দোকানদারের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন তিনি। তাই তারা সুমিত চৌধুরীকে গণপিটুনি দিতে শুরু করেন। অবশ্য তারা পুলিশের এই কর্মকর্তাকে তখন চিনতে পারেননি। এদিকে গভীর রাতে রাস্তার ওপর হইচইয়ের খবর পেয়ে রাজপাড়া থানার ডিউটি অফিসার ব্রজ গোপাল কর্মকার একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং জনতার হাত থেকে এএসপি সুমিত চৌধুরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পরে জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা রাজপাড়া থানায় গেলে ভোররাতে তাদের হাতে সুমিত চৌধুরীকে হস্তান্তর করা হয়।

রাজপাড়া থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, ‘ওই রাতে কিছু ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। ভোররাতের দিকে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়।’

বিষয়টি জানতে চাইলে সদ্যবিদায়ী এএসপি সুমিত চৌধুরী সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। কৌশলে এড়িয়ে যান রাজপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি। তিনি বলেন, ‘আমি এমন কোনো কাজ করিনি যাতে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাকে বদলি করার জন্য এসব প্রচার করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads