মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ ও গ্রহণ করার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১০। গ্রেফতাররা হচ্ছে- মহিদুল করিম লিমন (২৬), মো. সারওয়ার হোসেন ওরফে বিপ্লব (২৯), সাদ্দাম হোসেন (২৫), মো. মাসুদ (৩০), উজ্জ্বল রবি দাস (২৩), মো. রিফাত সরকার (১৯), মো. ফয়সাল আহমেদ (১৮), মো. মুস্তাকিন ফুয়াদ (১৯), আবু সাইদ (১৮), ইশা আলম (২১) ও মো. তারেক হাসান (১৯)।
গ্রেফতারদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার চেক, মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ২০১৮-১৯ সেশনের পরীক্ষার্থীদের ৯১টি অ্যাডমিট কার্ড, ৫ সেট ভুয়া প্রশ্নপত্র, ১৬টি মোবাইল ফোন ও ১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। র্যাব ১০-এর অধিনায়ক কাইয়ুমুজ্জামান খান গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনার কথা উল্লেখ করে র্যাব ১০ অধিনায়ক আরো জানান, ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ চক্রটি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে মেডিকেল ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের জানায় এবং ওইসব প্রশ্ন মোটা অঙ্কের অর্থের মাধ্যমে পাওয়া যাবে মর্মে বিশ্বাস স্থাপন করে। চক্রটি ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপস, ভাইভারে যোগাযোগ রক্ষা করে। সংবাদ পেয়ে র্যাব সাইবার প্যাট্রলিং ও মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে প্রথমে চক্রটিকে শনাক্ত করে। এরপর রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট ও পান্থপথ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। সরবরাহকারী চক্রের সদস্যরা রাজধানীতে অবস্থিত বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত।
আভিযানিক দলনেতা মহিউদ্দিন ফারুকী এক প্রশ্নের জবাবে জানান, এরা শুধু মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপ্রত্র সরবরাহ করছিল তার নয়, এর আগেও এরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা ১৯৮০-এর ৪/১৩ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬-এর ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।