• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮
ঝড়ো হাওয়ার সুযোগে মা ইলিশ শিকারের ধুম

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা যমুনায় ধরা হচ্ছে মা ইলিশ। গতকাল মানিকগঞ্জের শিবালয় থেকে ছবিটি তোলা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

ঝড়ো হাওয়ার সুযোগে মা ইলিশ শিকারের ধুম

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৩ অক্টোবর ২০১৮

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়ায় অবাধে চলছে মা ইলিশ শিকার। নিষেধাজ্ঞার ষষ্ঠ দিনে গতকাল শুক্রবার কারেন্ট জাল দিয়ে একশ্রেণির অসাধু জেলেকে তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ইলিশ শিকার করতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন ছিল নির্বিকার। অনেকটা দেখেও না দেখার মতো। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিমদী, চরওয়ালে ও মমিনপুরের কয়েকজন জেলে এবং মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, ঝড়ো বাতাসেই সাগর থেকে নদীতে ইলিশ উঠে আসে বেশি। ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে নদী এখন উত্তাল। আছে বৃষ্টি।  প্রশাসনের নজরদারিও কম। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত দুই দিন তেঁতুলিয়ায় ইলিশ শিকারের ধুম পড়ে। সুযোগমতো দিন ও রাতের আঁধারে নদীতে জাল ফেলছে জেলেরা। প্রশাসনের অভিযানের আগাম খবর পেয়েও যান তারা। খবর পেয়ে নৌকা ও অবৈধ জালসহ নিমদী, তালতলী, মমিনপুর, বাদামতলী, চরফেডারেশন, চরব্যারেট, চরনিমদী, চরকচুয়া, রায়সাহেবের চর, চরবাসুদেবপাশার বিভিন্ন খালে তাৎক্ষণিক আত্মগোপন করে। এরপর পৌর শহরের বাইরে গ্রামে গ্রামে চলে মাছ কেনাবেচার মহোৎসব।

তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে ধানক্ষেতের পাশে বসে অস্থায়ী ইলিশের হাট। মোবাইল ফোনেও মেলে ক্রেতা। মোবাইল ফোনে দালালের মাধ্যমে বিক্রি হয় এসব অবৈধ শিকার করা ইলিশ। ইলিশ মাছ পেতে গ্রেট সাইজ ও ওজন জেনে দর কষাকষির পর বিকাশের মাধ্যমে অগ্রিম বুকিং দিতে হয় দালালের মোবাইল নম্বরে। এরপর সুযোগমতো ক্রেতার হাতে নানান কৌশলে পৌঁছে দেওয়া হয় ইলিশ মাছ।

জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী কয়েকজনের অভিযোগ, আগের মতো প্রশাসনেরও নেই কড়া নজরদারি। অবরোধের ষষ্ঠ দিন পর্যন্ত কেউ আটক কিংবা উল্লেখযোগ্য নৌকা-জাল আটকের খবর পাওয়া যায়নি। দিন-রাত মিলে নদীতে জেলেদের চার-চার বার জাল ফেলার সময় হলেও কেবল বিকালের দিকে একবেলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নৌ-পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করেন। আগের মতো কোস্টগার্ডের লোকজন বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উপজেলা প্রশাসনের অভিযান পরিচালনার দৃশ্য দেখা যায়নি নদীতে।

উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, অবরোধে এ পর্যন্ত ৮২ হাজার মিটার জাল আটক করা গেলেও জড়িত কাউকেই আটক করা সম্ভব হয়নি।                          

গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর ২২ দিন তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে চররুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারসহ ১৯০ কিলোমিটার নদীর জলসীমায় মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ।

অভিযান পরিচালনায় যথেষ্ট জনবল ও যানবাহন সংকট থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কথা উল্লেখ করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে কনকদিয়া, বগা, কাছিপাড়া, ধুলিয়া, কালাইয়া, চন্দ্রদ্বীপসহ বিভিন্ন জায়গায় জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ীসহ সাধারণ লোকজন নিয়ে ব্যানার টানিয়ে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। নদীতে করা হয়েছে মাইকিং।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads