কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা থেকে নিখোঁজ হওয়া আট বছর বয়সী এক শিশুকে জামালপুরের সরিষাবাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে ছেলে শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুমিল্লার মেঘনা থানার চানপুর গ্রামের রফিকউদ্দীনের ছেলে হাসান (২৭)। এছাড়া পলাতক অপর অপহরণকারী নুরুকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত পৌনে ১টার দিকে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানাধীন আওনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একজন কলার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। তিনি জানান, গভীর রাতে দুই ব্যক্তি একটি ৮-৯ বছরের শিশুকে নিয়ে তার বাড়িতে রাতে থাকার জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করায় তিনি তাদের ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন। কিন্তু তাদের আচরণ ও কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশি সহায়তা চান।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কন্সটেবল সজীব বড়ুয়া। আর কলার ও সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিলেন ৯৯৯ ডেসপাচার এসআই আব্দুর রশীদ।
পুলিশ আরও জানায়, খবর পেয়ে সরিষাবাড়ি থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং শিশুসহ একব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসে। অন্য আরেক ব্যক্তি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর আট বছর বয়সী শিশুটি কুমিল্লার মেঘনা থানাধীন চানপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়।
পরে মেঘনা থানায় ওইদিন একটি নিখোঁজ জিডি করা হয়েছিল। এরপর আসামিরা শিশুটির বাবার কাছে মুক্তিপণ হিসেব প্রথমে এক কোটি টাকা, পরে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা, সবশেষ ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করেন। পরে গত ২০ ডিসেম্বর মেঘনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ঢাকার ধামরাই থানা অন্য পলাতক অভিযুক্ত অপহরণকারী নুরুকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে এবং জামালপুরে গ্রেপ্তারকৃতকে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য কুমিল্লার মেঘনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ডিআর/এমবি