বাণিজ্য সম্প্রসারণে ডিসিসিআই ও দুবাই চেম্বার্সের সমঝোতা স্বাক্ষর

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৫৩
-67bf2ae727e10.jpg)
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরকারী ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রতিনিধিদল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুবাই চেম্বার্স আয়োজিত ‘দুবাই-বাংলাদেশ বিজনেস ব্রিফিং’ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করে। দুবাই চেম্বার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সভায় ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে ২৯ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল।
সভায় ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য অন্যতম বৃহৎ বাজার এবং এখানে কর্মরত প্রবাসীদের সংখ্যা সৌদি আরবের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক বিনিয়োগ কাঠামো, শতভাগ বিদেশি মালিকানার সুযোগ, বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা, শক্তিশালী মেধাস্বত্ব সুরক্ষা আইন ইত্যাদি কারণে দুবাইয়ের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হতে পারে। বিশেষ করে, প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর লজিস্টিক সেবাখাতে ইউএই’র বিনিয়োগের বিপুল সুযোগ রয়েছে।
দুবাই চেম্বার্সের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আলী রাশেদ লুতাহ বলেন, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জানান, ২০২৪ সালের শেষে দুবাই চেম্বারে নিবন্ধিত বাংলাদেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৮৬৮৬, যা এই বাজারের প্রতি বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে ইউএইতে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর স্থানীয় শাখা অফিস স্থাপনেরও আহ্বান জানান তিনি।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা আরও সুসংহত করতে ডিসিসিআই ও দুবাই চেম্বার্সের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ এবং দুবাই চেম্বার্সের সিইও মোহাম্মদ আলী রাশেদ লুতাহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর আওতায় বিটুবি ম্যাচমেকিং, যৌথ বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ, বাণিজ্য সভা ও প্রদর্শনী আয়োজনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বাণিজ্য আলোচনা সভা শেষে দুবাই চেম্বার্স-এর সদস্যভুক্ত ৫০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ডিসিসিআই প্রতিনিধিদলের বিটুবি (B2B) ম্যাচমেকিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। উভয় দেশের উদ্যোক্তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিভিন্ন সুযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই-এর ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজীব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. সালেম সোলায়মান, সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমানসহ বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এএইচএস/বিএইচ