Logo
Logo

অর্থনীতি

নিরাপত্তা জোরদার, বাণিজ্য মেলা শুরু বুধবার

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৫৭

নিরাপত্তা জোরদার, বাণিজ্য মেলা শুরু বুধবার

ফাইল ছবি

পয়লা জানুয়ারি বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসর। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে মেলার এবারের আসর উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

রাজধানীর উপকণ্ঠ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে পূর্বাচল উপশহরে স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিউশন সেন্টারে চতুর্থবারের মতো বসছে বাণিজ্য মেলা। এবার মেলার প্রধান প্রবেশদ্বার তৈরি হচ্ছে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের স্মৃতির আদলে। মেলার প্রধান প্রবেশদ্বারের পূর্ব পাশে থাকবে শহীদ আবু সাঈদ কর্নার ও মূল ভবনের উত্তর পাশে থাকছে মুগ্ধ কর্নার। মূল ভবনের ভেতরে থাকছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন। 

দর্শনার্থীদের বসার জন্য থাকবে তিনটি সিটিং জোন। ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য থাকছে ডাচবাংলা ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের একাধিক বুথ। মেলায় আসা শিশুদের জন্য থাকছে একটি ডিজিটাল শিশুপার্ক। মেলায় নজরদারি বাড়াতে ২৩৪টি সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি থাকবে ৫টি ওয়াচ টাওয়ার। তাৎক্ষণিক সেবা দিতে থাকছে একাধিক পুলিশের টিম। 

যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাত শতাধিক পুলিশ। থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি গেটে থাকবে ইজারাদারের স্বেচ্ছাসেবকরাও। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেশি-বিদেশি ৩৬২টি স্টলে নিয়ে আলোজিত এ মেলাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সর্ব্বোচ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার লোকজন যেন নির্বিঘ্নে মেলায় আসতে পারেন, সে জন্য অন্য বছরের মতো থাকছে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। আগের তুলনায় এবার মেলায় দর্শনার্থীর উপস্থিতি বেশ ভালো হবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। 

কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার মেলায় প্রবেশ করতে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট কিনতে পারবেন আগত দর্শনার্থীরা। এদিকে মেলার প্রস্তুতির একেবারেই শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্টল নির্মাণকারী কারিগররা। স্টল নির্মাণ শেষ করতে কাজ চলছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। মেলা শুরুর আগেই মালিকপক্ষকে পুরোপুরি নির্মিত স্টল বুঝিয়ে দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কারিগররা। 

একাধিক প্যাভিলিয়নের মালিকরা বলছেন, মেলা শুরুর আগেই সব প্যাভিলিয়নের স্টল নির্মাণ হয়ে যাবে। প্রতি বছরই শেষ দিকে এসে ২৪ ঘণ্টা ধরে নির্মাণের কাজ হয়। অন্যবারের চেয়ে এবার মেলা বেশি জমবে। 

তারা বলছেন, ‘জুলাই-আগস্টের ঘটনার কারণে মানুষ এক ধরনের ট্রমার মধ্যে রয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশ পেলে এই ট্রমা দূর হবে। মানুষের কাছে আগের মতো টাকা-পয়সা নেই ঠিক। তারপরও যাদের কাছে আছে, তাদের সংখ্যাও কম নয়। আশা করা যায়, এবারও বেচাকেনা খারাপ হবে না।’ 

জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘স্টল নির্মাণের অর্ধেক কাজ অলরেডি শেষ হয়ে গেছে। বাকি অর্ধেক আশা করি ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। উদ্বোধনের দিন থেকে প্রোডাক্ট ডিসপ্লে করে দোকান চালু করে দেবো। গত বছর তেমন সুবিধা করতে পারিনি। এ বছর যেহেতু দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে তাই এবার ভালো কিছু আশা করছি।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘মেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। এবারের আসর ঘিরে সাত শতাধিক পুলিশ সদস্যও মোতায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।’

তিনি বলেন, ‘মেলার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। মেলার শুরু থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের অভিযোগ গ্রহণে মেলা প্রাঙ্গণে পুলিশ ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়েছে।’

এনএমএম/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর