Logo

অর্থনীতি

সোনার দোকানে ইএফডি বসছে

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৯

সোনার দোকানে ইএফডি বসছে

ভ্যাট আদায় বাড়াতে দেশের সকল জুয়েলারি দোকানে ‘ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস’ (ইএফডি) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটির সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ‘ইএফডি’ স্থাপন করা হবে।

রোববার এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতিকে (বাজুস) চিঠি দিয়েছে এনবিআর।

চিঠিতে বলা হয়, ইএফডি বসানোর বিষয়ে গত ৭ জানুয়ারি বাজুসের সঙ্গে এনবিআরের একটি বৈঠক হয়। সেখানে বাজুস নেতারা জুয়েলারি খাতের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। এর মধ্যে কিছু সমস্যা ছিল ভ্যাট, ব্যাগেজ রুল ও সোনা আমদানির বিষয়ে।

আলোচনায় বাজুস নেতারা বলেন, জুয়েলারি খাতে এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ভ্যাটের আওতায় আসেনি। এদের নিবন্ধন সম্পন্ন করে সব জুয়েলারি দোকানে ইএফডি স্থাপন করলে ভ্যাট আদায় বাড়বে বলে মত দেন বাজুস নেতারা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে অংশীজনদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক জুম সভা আহ্বান করা হয়েছে তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস ইএফডি স্থাপন করবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকার (পূর্ব/পশ্চিম/উত্তর/দক্ষিণ/চট্টগ্রাম) কমিশনারেটের আওতাধীন বিভিন্ন বাজার এবং এলাকায় অবস্থিত জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা প্রয়োজন।

এই পরিস্থিতিতে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি এলাকার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রদানের জন্য সমিতির কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।

যদি একসাথে পূর্ণ তালিকা প্রদান করা সম্ভব না হয়, তবে এনবিআর আংশিকভাবে প্রদানের জন্যও অনুরোধ করেছে। এই বিষয়ে, এনবিআর কর্মকর্তারা বাজুসের সহযোগিতা কামনা করেন এবং নেতারা সম্ভাব্য সর্ব প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাট প্রদানকারীর সংখ্যা ৫ লাখের কিছু বেশি। এতে সিস্টেমের বাইরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর