বেক্সিমকোর কারখানা বন্ধে অনিশ্চয়তায় ১০ লাখ মানুষ

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৭
-6791fb1f9534f.jpg)
বেক্সিমকো গ্রুপের গার্মেন্টস ও অন্যান্য কারখানা বন্ধ থাকায় ৪২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও প্রায় ১০ লাখ মানুষ চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকদের জানুয়ারি (২০২৫) পর্যন্ত বেতন দেওয়া হলেও ফেব্রুয়ারির পর তা বন্ধ হবে বলে জানানো হয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, অবিলম্বে কারখানাগুলো খুলে দিয়ে তাদের লে-অফ প্রত্যাহার করতে হবে। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠান প্রতি মাসে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার পণ্য রপ্তানি করত, যা বন্ধ থাকায় জাতীয় রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
তাদের আরও দাবি, বেক্সিমকোর ব্যাংকিং সুবিধা ও ব্যাক টু ব্যাক এলসি পুনঃস্থাপন করে উৎপাদন চালু করতে হবে। শ্রমিকরা দুই বছরের বকেয়া ছুটির টাকা ও চার মাসের বেতন দ্রুত পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, বন্ধ কারখানাগুলোতে ২ হাজার প্রতিবন্ধী ও ৫ হাজার ষাটোর্ধ কর্মী কাজ করেন। দীর্ঘমেয়াদে কারখানা বন্ধ থাকা সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টি করতে পারে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।
‘বেক্সিমকো বাঁচাও, ১০ লাখ মানুষ বাঁচাও’ দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে শ্রমিকরা আহ্বান জানিয়েছেন।
এএস/এমজে