২০২৪ সালে পোশাক রপ্তানিতে যেমন ছিল বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:১৪
-67a758a7ee3ce.jpg)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটির পোশাক আমদানিতে মোট মূল্য ১.৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিমাণগতভাবে ৫.৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে প্রতিযোগিতার কারণে ইউনিট মূল্যে ৩.৮৩ শতাংশ হ্রাস দেখা গেছে।
এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারেও বাংলাদেশ তার অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির মূল্য ০.৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭.৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে রপ্তানি পরিমাণ ৪.৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ইউনিট মূল্যে ৩.৯৪ শতাংশ হ্রাসের মুখোমুখি হয়েছে, যা লাভজনকতায় সরাসরি প্রভাব ফেলছে।
অন্যান্য প্রধান রপ্তানিকারক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল মাঝারি মাত্রার। ভিয়েতনাম মার্কিন বাজারে ৫.৬৭ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিমাণে ৯.৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ভারত ৪.৯৫ শতাংশ মূল্যে ও ১৩.০৯ শতাংশ পরিমাণে প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। বিশেষ করে কম্বোডিয়া উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে, যার রপ্তানি মূল্য ১৪.৪৮ শতাংশ এবং পরিমাণ ১৮.৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে, মেক্সিকো ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিকূল অবস্থায় পড়েছে। মেক্সিকোর রপ্তানি মূল্য ৬.৭৮ শতাংশ এবং পরিমাণ ১৫.১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে এ হ্রাস যথাক্রমে ১২.৯৪ শতাংশ ও ৫.৫৬ শতাংশ।
বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধীরগতির হলেও এটি প্রমাণ করে যে দেশটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের তুলনায় ধীরগতির প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করছে।
বিশ্ববাজারে বর্ধিত প্রতিযোগিতা এবং ইউনিট মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য উদ্বেগের বিষয়। এ পরিস্থিতিতে, উৎপাদন খরচ হ্রাস, পণ্যের বহুমুখীকরণ, বাজার সম্প্রসারণ এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তা ছাড়া, চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে, তবে তা কাজে লাগাতে হলে কৌশলগত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
এএইচএস/বিএইচ