Logo

অর্থনীতি

শবে বরাতের বাজার

বেড়েছে মাংসের দাম, ভোজ্য তেলের সংকট

নুর মোহাম্মদ মিঠু

নুর মোহাম্মদ মিঠু

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৩

বেড়েছে মাংসের দাম, ভোজ্য তেলের সংকট

আজ পবিত্র শবে বরাতের প্রভাব পড়েছে বাজারে। সকাল থেকেই শবে বরাত উপলক্ষে বাজারে গরুর মাংস ও মুরগির দোকানে ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। কোথাও কোথাও গরু ও মুরগির মাংসের দরও কিছুটা বেড়েছে। তাছাড়া বেশির ভাগ দোকানেই দেখা মেলেনি বোতলজাত সয়াবিন তেল। বোতল সংকটে খোলা সয়াবিনের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ এখন খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কাপ্তান বাজার ও হাতিরপুল ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। 

যাত্রাবাড়ী আড়ত ঘুরে জানা গেছে, গত ছয়-সাত মাস ধরে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে শবেবরাত ঘিরে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় কিছু কিছু দোকানি দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে বড় বাজারগুলোতে আগের দরে পাওয়া গেলেও এলাকাভিত্তিক ছোট বাজারগুলোতে কেউ কেউ ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। 

ব্রয়লার মুরগিও কেজি প্রতি এক-দেড় মাস ধরেই ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে আসছে। গত সপ্তাহে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ ১০ টাকা বেড়েছে। ফলে ক্রেতাদের কেজিতে গুনতে হয়েছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগির দরও গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা দরে।

যাত্রাবাড়ী আড়তের মাংস ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, শবে বরাত উপলক্ষে মানুষ বেশি পরিমাণে কিনছে। এ জন্য দর কিছুটা বেড়েছে। প্রায় একই কথা বলেন আড়তের মুরগি ব্যবসায়ীরাও। 

এদিকে বাজারে এখনও ভোজ্যতেলের সংকট কাটেনি। মাসখানেক ধরে বাজারে বোতলজাত ভোজ্যতেলের সরবরাহে ঘাটতি চলছে। বোতল সংকটে খোলা সয়াবিন তেলের দর বেড়ে গেছে। এতে অনেকেই দোকানে খোলা তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। 

কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের খবরকে বলেন, কোম্পানি তেল দিতে পারে না। পাঁচ কার্টন চাইলে দেয় দুই কার্টন। একদিনেই তা শেষ হয়ে যায়। এ ছাড়া সরকার খোলা সয়াবিনের দর নির্ধারণ করেছে ১৫৭ টাকা। কিন্তু ডিলারদের থেকে পাইকারিই কিনতে হয় ১৯০ টাকা দরে। এ জন্য এক সপ্তাহ ধরে খোলা তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছি। 

তবে শবে বরাত উপলক্ষে ক্রেতার বেশ চাপ লক্ষ্য করা গেছে মুদি দোকানগুলোতে। প্রায় প্রতিটি দোকানে বিক্রেতারা ছিলেন বেচাকেনায় ব্যস্ত। বেশির ভাগ ক্রেতাকে ছোলা, চিনি, তেল ও মসলা কিনতে দেখা গেছে। 

এদিকে কয়েক মাস ধরেই চালের বাজার চড়া। যদিও আমদানির কারণে কিছুটা কমতির দিকে আছে এখন। গত এক সপ্তাহে সব ধরনের চালের কেজিতে দু-এক টাকা কমেছে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। 

পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি থাকলেও রসুনের বাজার চড়া। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। দেশি নতুন রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এই দরের চেয়ে অন্তত ১০ টাকা কমে রসুন কেনা গেছে। একই সঙ্গে আদাও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সবজির বাজার এখনও ক্রেতার নাগালে রয়েছে। যদিও কিছুটা বেড়েছে বেগুন ও আলুর দর। প্রতি কেজি লম্বা বেগুনের দর কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং ৫ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। এ ছাড়া মুলা ও শালগমের কেজি ১৫ থেকে ২০, শিম ও গাজর ৩০ থেকে ৪০, ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস ২০ থেকে ২৫, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০, টমেটো ২০ থেকে ২৫, শসা ৫০ থেকে ৬০ ও কাঁচামরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। মাছের বাজারে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি।

হাতিরপুল বাজারের কাঁচামালের ব্যবসায়ী আসাদ মিয়া বাংলাদেশের খবরকে বলেন, দুই-তিন দিনের মধ্যে বেগুনের দর আরও বাড়বে। কারণ, রোজার সময় বেগুনের চাহিদা বেশি থাকে।

এনএমএম/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর