৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
রোববার (১ ডিসেম্বর) পিএসসি সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়ার সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। আর আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে আবেদন ফি আগের মতো ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ধরা হয় ১০০ টাকা। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরই আবেদন ফি কমানোর ঘোষণা দেয় পিএসসি।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৪৭তম বিসিএসের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার ও ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর বয়সীরা আবেদন করতে পারবেন।
এদিকে একজন চাকরিপ্রার্থীর আবেদনের বয়স থাকা পর্যন্ত বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে চায় পিএসসি। এ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে পিএসসি। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত যতবার সুযোগ থাকবে ততবার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
এ সম্পর্কে পিএসসির একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত একজন প্রার্থী চারবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে প্রার্থীদের চাকরির আবেদনের বয়সসীমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুযোগ দিতে চায় পিএসসি। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সর্বোচ্চ তিনবার বিসিএস দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে নানা সমালোচনার মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, একজন পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ চারবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
ডিআর/টিএ/এসবি/এনআর