ছবি : সংগৃহীত
পটৌদী হাউস—মুম্বইয়ের বান্দ্রা পশ্চিমের সেন্ট টেরেসা রোডের এক সুন্দর এবং বিলাসী বাড়ি। এটি সাইফ আলি খান ও করিনা কাপুরের নতুন সংসারের প্রতীক এবং তাদের পরিবারিক জীবনের এক অনন্য ছবি। তবে, সম্প্রতি এই বাড়িটি আলোচনায় উঠে এসেছে সইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায়, যা নিরাপত্তার ব্যবস্থাকে নিয়েও এক নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। চলুন, জেনে নিই কেমন সেই বাড়ি যেখানে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল—
বিলাসী আবাসস্থল
সাইফ ও করিনা ১২ তলা ভবনের চারটি তলা নিয়ে ‘পটৌদী হাউস’ তৈরি করেছেন, যার আয়তন প্রায় ৩০০০ বর্গফুট প্রতি তলে। তাদের বাসস্থানটি এক অভিজ্ঞান এবং বিলাসিতার দৃষ্টান্ত, যেখানে রয়েছে তিনটি শোয়ার ঘর, একটি বিশাল বসার ঘর, রান্নাঘর, স্নানঘর এবং বারান্দা। পরিবারটির জন্য রয়েছে নিজস্ব গ্রন্থাগার, সুইমিং পুল, এবং তৈমুর ও জাহাঙ্গীরের জন্য আলাদা ঘর। বাড়ির প্রতিটি কোণে রয়েছে বিলাসবহুল আসবাবপত্র, শিল্পকর্ম, এবং বিভিন্ন দেশের সংগ্রহ।
আধুনিক ও ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ
বাড়ির নকশা করেছেন অন্দরসজ্জা বিশেষজ্ঞ দর্শিনী শাহ। তার ডিজাইন করা বাড়িতে রয়েছে ব্রিটিশ স্থাপত্যের ছাপ—সাদা-কালো মার্বেল মেঝে, কাঠের আসবাব, ঝাড়বাতি এবং ভিক্টোরিয়ান আমলের শিল্পকর্ম। বসার ঘরটি সাজানো হয়েছে নানা দেশ থেকে আনা শিল্পকর্ম দিয়ে, যা বাড়ির একে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
খোলা বারান্দা ও ছাদ
প্রতিটি তলাতেই রয়েছে একটি খোলামেলা বারান্দা, যেখানে সাজানো হয়েছে নানা রকম আসবাব, টব, চেয়ার-টেবিল এবং সোফাসেট। এসব জায়গা পারিবারিক আড্ডা, বন্ধুবান্ধবের পার্টি এবং বিশেষ মুহূর্তের জন্য আদর্শ। এছাড়া, ১২ তলা ভবনের ছাদে রয়েছে সুইমিং পুল, যা থেকে বান্দ্রার বিস্তৃত প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়।
স্মৃতির ঝলক ও করিনার সাজঘর
সাইফ ও করিনার পরিবারটির প্রতিটি মুহূর্ত স্মৃতিতে ভরা। বাড়ির করিডরগুলো সাজানো হয়েছে সবুজ গাছপালায় এবং সেখানে রয়েছে সাইফ-করিনার বিভিন্ন ভ্রমণের ছবি। করিনার সাজঘরও আলাদা আকর্ষণ—এখানে তার হাজার হাজার টাকার পোশাক, ব্যাগ, জুতো এবং অলঙ্কার সাজানো রয়েছে।
নতুন দৃষ্টিতে ‘পটৌদী হাউস’
২০১৩ সালে সাইফ ৪৮ কোটি টাকা দিয়ে এই বাড়ি কিনেছিলেন এবং এটি তাদের সুখী সংসারের এক বড় প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। তবে, সম্প্রতি এই বাড়ির কথা শুধুমাত্র বিলাসিতার কারণে নয়, বরং সইফের ওপর হামলার কারণে আরও বেশি আলোচিত হচ্ছে। এই ঘটনা সইফ-করিনার জীবনে এক অন্ধকার অধ্যায় সৃষ্টি করেছে, তবে তাদের পরিবারের সুখী জীবনের সঙ্গে এই বাড়ি একটি গল্পের মতো, যা প্রমাণ করে বিলাসিতা এবং নিরাপত্তা কখনো কখনো একে অপরের পরিপূরক হয় না।
এটিআর/