ছবি : সংগৃহীত
বিড়ালের মাংস রান্না করে খাওয়ায় এক নারীর এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ওহাইও অঙ্গরাজ্যের আদালত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ‘জাতির জন্য লজ্জাজনক’ বলেও অভিহিত করেছেন আদালত।
সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত আগস্টে বাড়ির বাইরে ঘুরতে থাকা একটি বিড়ালকে হত্যা করেন অ্যালেক্সিস ফেরেল (২৭) নামের ওই নারী। বিড়ালটি খাওয়ার সময় দেখে ফেলেন তার প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে চার হাত-পায়ে চতুষ্পদের মতো হাঁটতে এবং বিড়ালের মাংস খেতে দেখেন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) স্টার্ক কাউন্টি কমন প্লিস কোর্টের বিচারক ফ্রাঙ্ক ফোর্চিওনে, ফেরেলকে ‘জাতীয় লজ্জা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনি এই কাউন্টিকে, এই দেশকে লজ্জায় ফেলেছেন। তার চেয়ে বড় কথা, আপনি নিজেকেই ঘৃণিত করেছেন!’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি সমাজের জন্য বিপজ্জনক। এটি আমার কাছে অত্যন্ত বীভৎস লেগেছে। কেউ কীভাবে একটি প্রাণীর সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারে তা আমি কল্পনাও করতে পারি না! প্রাণীরা শিশুর মতো। এটি কতটা হতাশা, বিস্ময় ও ঘৃণার, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি জানি না কী কারণে কেউ বিড়াল খেতে চাইতে পারে!’
পশু নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ফেরেলকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। ফেরেল এর আগেও চুরি এবং শিশু নির্যাতনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। তার ওই দুটি অপরাধের জন্য তাকে ১৮ মাসের পৃথক কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
ফেরেলের আইনজীবী স্টিফেন কানডেল বলেন, ‘ফেরেল মাদকাসক্তিসহ বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছেন। তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সেটি উঠে এসেছে। সাজাভোগের পর তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায়ও এ ঘটনা প্রভাব ফেলেছিল। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জেডি ভ্যান্স (ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোনীত) দাবি করেছিলেন, স্প্রিংফিল্ডে হাইতিয়ান অভিবাসীরা স্থানীয় পোষা প্রাণী খেয়ে ফেলছে।
পরে তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ফেরেল অভিবাসী নন। এ ঘটনার সঙ্গে ওই দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, অ্যালেক্সিস ফেরেল ওহাইওতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৫ সালে ক্যান্টন ম্যাককিনলে হাইস্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
কেই/এমআই/এসবি