যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসের ঘুষের অভিযোগ খারিজ আবেদনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মামলা হওয়ায় তা বাতিল করার আবেদন করেছিলেন মেয়র এরিক।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) নিউইয়র্ক সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের ৩০ পৃষ্ঠার রায়ে ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ ডেল হো বলেছেন, অ্যাডামসের যুক্তি যে সরকারি অভিযোগগুলো ঘুষের জন্য আইনগত মানদণ্ড পূরণ করেনি। তাই অমূলক আবেদন বাতিল করা হলো। বিচারক হো নির্ধারণ করেছেন যে মেয়রের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ বাতিলের প্রয়োজন নেই।

অ্যাডামসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ হওয়ার পর তার আইনজীবী অ্যালেক্স স্পিরো দাবি করেছেন, প্রসিকিউটররা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন যে অ্যাডামস ঘুষ নিয়েছিলেন। এই অভিযোগটিকে ‘অত্যন্ত অস্পষ্ট’ বলে বর্ণনা করে তা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন।

অ্যাডামসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বলা হয়েছে, তিনি গত এক দশকে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও অন্তত একজন তুর্কি সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে ‘অপর্যাপ্ত মূল্যবান সুবিধা’ নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ওয়্যার ফ্রড ও বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে অবৈধ অবদান গ্রহণের অভিযোগও রয়েছে। 

অ্যাডামস সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সোমবার বলেছেন যে তিনি অ্যাডামসের জন্য একটি প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করবেন। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তিনি কি অ্যাডামসকে ক্ষমা করার বিষয়টি দেখবেন? ট্রাম্প জানান যে তিনি বিষয়টি দেখে দেখবেন। কারণ তিনি মনে করেন, অ্যাডামসের সঙ্গে ‘অত্যন্ত অবিচার’ করা হয়েছে।

এদিকে, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসের সঙ্গে ঘুষ লেনদেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিও জড়িত রয়েছেন বলে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে। 

হোম কেয়ারের অর্ধ ডজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে মেয়র এরিকের। যারা গত কয়েক বছরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মেয়রের কাছ থেকে নানা সুবিধা আদায় করেছেন। 

শুধু তাই নয় জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকীতেও নিজেদের বাড়িতে মেয়রকে এনে ফটোসেশন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদেরকে জাহির করেছেন। মেয়র এরিক অ্যাডামসের ঘূষ গ্রহণ মামলায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিও ফেঁসে যেতে পারেন বলে প্রবাসের অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছেন।

ওএফ