যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ট্রাম্প-মেলানিয়ার মিম কয়েন

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:২২

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সির পর মেলানিয়া ট্রাম্পও নিজের মিম কয়েন $মেলানিয়া চালু করেছেন।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্টে মেলানিয়া জানান, অফিসিয়াল মেলানিয়া মেমে লাইভ হয়েছে! এখনই $মেলানিয়া কিনুন।
এই কয়েনের ওয়েবসাইটে ‘মেলানিয়া মিমিস’ কে ‘সোলানা ব্লকচেইনে তৈরি এবং ট্র্যাক করা ফাঞ্জিবল ক্রিপ্টো অ্যাসেট’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
মেলানিয়ার কয়েন এমন সময়ে চালু হলো যখন ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সি ও এর ব্যবহারকীদের প্রশংসা করেছেন। তিনি নিজেও একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্ট করে বলেন, আমার নতুন অফিসিয়াল ট্রাম্প মিম এসেছে! এটি উদযাপন করার সময়: আমরা যা প্রতিনিধিত্ব করি তার জন্য জয়! আমার বিশেষ ট্রাম্প কমিউনিটিতে যোগ দিন। এখনই $ট্রাম্প কিনুন।
ট্রাম্প মিম কয়েন ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ‘$ (ডলার) ট্রাম্প’ এই মিম কয়েনের সার্বিক বাজারমূল্য ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আর ট্রাম্প এবং ট্রাম্পের কোম্পানিগুলোর মুনাফার পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
গত শুক্রবার রাতে ট্রাম্প ওয়াশিংটনে একটি ‘ক্রিপ্টো বল’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখান থেকেই তিনি তার নিজস্ব মিম কয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সির উন্মোচন করেন। তার ওয়েবসাইটে এটিকে ‘ট্রাম্পের একমাত্র অফিশিয়াল মিম’ কয়েন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে ট্রাম্পের নাম ব্যবহার করে একাধিক মিম কয়েন তৈরি হলেও এগুলোর কোনোটি তার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি। তবে এবার ‘$ ট্রাম্প’ তার অফিশিয়াল ক্রিপ্টো মুদ্রা হিসেবে বাজারে এলো।
ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারের তথ্য নিয়ে কাজ করা বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান কয়েনগেকোর তথ্যানুসারে, $ ট্রাম্পের একেকটি কয়েনের মূল্য রাতারাতি ৬০০ শতাংশ বেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বেলা ১১টার মধ্যে ৩২ ডলারের ওপরে ওঠে যায়। এর ফলে ট্রাম্পের এই মিম ক্রিপ্টোকারেন্সির মোট বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
কয়েনগেকো জানিয়েছে, এই মুদ্রার ৮০ শতাংশ মালিকানা ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সহযোগী সিআইসি ডিজিটাল এবং সিআইসির আংশিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ফাইট ফাইট ফাইট এলএলসির হাতে। ফাইট ফাইট ফাইট নামটি এসেছে জুলাই মাসে ট্রাম্পের ওপর হামলার সময় তার উচ্চারিত কথার অনুকরণে।
ট্রাম্পের অফিশিয়াল এই মিম কয়েনের শেয়ারগুলো তিন বছরের একটি ‘আনলকিং শিডিউলের’ অধীন থাকবে। যার ফলে এই সময়ের মধ্যে এসব কয়েনের শেয়ারের মালিকেরা পুরো মজুত একসঙ্গে বিক্রি করতে পারবে না।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ধারণা এবং এই শিল্পকে ট্রাম্প ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি এটি ‘জাতীয় অগ্রাধিকার’ হিসেবে ঘোষণা করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন এবং তা হয়তো এই সপ্তাহেই তা হতে পারে। এর আগে কোনো রাজনীতিক তাদের সমর্থকদের সরাসরি অর্থায়ন করার উপায় দেননি। ট্রাম্প এই প্রথম সেই কাজটি করলেন।
যদিও ট্রাম্প এর আগে ক্রিপ্টোকে একটি ‘প্রতারণা’ বলেছিলেন। তবে পরে তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় এটি সমর্থন করেন এবং ডিজিটাল অ্যাসেট গ্রহণকারী প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন। তার সমর্থকরা কেম্পেইনে চাঁদা দিতে পারেন যেকোনো ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে, যা কয়েনবেস কমার্স পণ্য দ্বারা গৃহীত হয়।
শুক্রবার ট্রাম্পের আসন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্রিপ্টো সিজার ডেভিড স্যাক্স ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রথম ‘ক্রিপ্টো বল’ আয়োজন করেন। ক্রিপ্টোকারেন্সি ইন্ডাস্ট্রি গত নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছিল এবং এখন ট্রাম্পের আসন্ন মেয়াদের জন্য একটি উইশলিস্ট প্রস্তুত করছে।
ওএফ