Logo

প্রবাস

আ.লীগ কর্মীদের তোপের মুখে ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাস কর্মকর্তা

Icon

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩১

আ.লীগ কর্মীদের তোপের মুখে ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাস কর্মকর্তা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তোলায় ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন সালাউদ্দীন মাহমুদ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়া রাজ্যের আর্লিংটন শহরের কেনমোর মিডল স্কুলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।  

ডিসি একুশে অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠনের আয়োজনে এবং ধ্রুপদের ব্যবস্থাপনায় কেনমোর মিডল স্কুলে শনিবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে ২৮টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং অতিথি হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি উপস্থিত থাকতে না পারায় তার প্রতিনিধি হিসেবে মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন সালাউদ্দীন মাহমুদ অংশ নেন।  

অনুষ্ঠান চলাকালীন সালাউদ্দীন মাহমুদ ভাষা আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন এবং চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি তুলে ধরেন। এতে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং অনুষ্ঠানের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।  

বিশেষ করে মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহসিনা জান্নাত রিমির কড়া প্রতিবাদের মুখে সালাউদ্দীন মাহমুদ মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হন।  

মোহসিনা জান্নাত রিমি বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং বাংলা ভাষার গৌরব তুলে ধরা। এটি একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান হিসেবে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সালাউদ্দীন মাহমুদের বক্তব্যে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ ওঠায় পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি ভাষা শহীদদের স্মরণ করতে গিয়ে ২০২৪ সালের নিহতদের জন্যও নীরবতা পালনের আহ্বান জানান, যা আমরা মেনে নিতে পারিনি। কারণ এই মঞ্চ ভাষা শহীদদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে।’ 

তার বক্তব্যের পর মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও সালাউদ্দীন মাহমুদের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন এবং তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে তিনি মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হন।

কেআই/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর