• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮
কীটনাশক ছাড়া পোকা দমন

পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

কীটনাশক ছাড়া পোকা দমন

  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর ২০১৮

এম. সাখাওয়াত হোসেন, মহাদেবপুর (নওগাঁ)

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পোকা দমনের পরিবেশবান্ধব পার্চিং পদ্ধতি। ক্ষতিকর পোকা দমনে একসময় জমিতে ব্যাপকভাবে কীটনাশক ব্যবহার করা হতো। এখন সে প্রবণতা কমেছে। ধান ক্ষেতে পোকা খেকো পাখি বসার ব্যবস্থা করে পোকা দমন করা হচ্ছে। উপজেলার ধান ক্ষেতের মাঝে ১৫-২০ হাত দূরে দূরে বিভিন্ন গাছের ডাল, বাঁশের খুটি, বাঁশের কঞ্চি পুঁতে পাখি বসার পরিবেশ তৈরি করে পোকা দমন করছেন কৃষকরা। সেখানে কিছুক্ষণ পরপর নানা জাতের পাখি উড়ে এসে বসছে আর ক্ষেতের পোকা ধরে খাচ্ছে। এভাবে কীটনাশক ছাড়া সহজেই দমন হচ্ছে পোকা।

কীটনাশক ছাড়াই পোকা দমনের এই পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে ধানের জমিতে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছেন এ উপজেলার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ২৭ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কৃষকরা ২৮ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে এই উপজেলার অত্যন্ত জনপ্রিয় চিনি আতব ধান চাষ হয়েছে ৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। জমিতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকা দমন করছেন কৃষকরা। এ উপজেলার এনায়েতপুর ইউপিতে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুমিনুল ইসলাম জানান, পোকা দমনে এই পদ্ধতি শতকরা ৭৫-৮০ ভাগ কার্যকর। এ পদ্ধতি ব্যবহারে প্রতি একরে কীটনাশকের ব্যয় কমেছে দুই হাজার টাকারও বেশি। পাশাপাশি কৃষকরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করায় পাখির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক জানান, কীটনাশক ব্যবহার না করে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করায় কৃষকদের ফসল উৎপাদনে খরচ কমে যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মহাদেবপুর উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads