ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা ‘হাল্ট প্রাইজে’র অন ক্যাম্পাস ফাইনাল রাউন্ডে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের শিক্ষার্থীদের দল ‘ক্রাফটিকস’। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ মার্কিন ডলার পেয়েছে দলটি। এছাড়া প্রথম রানার আপ হয়েছে ‘টিম এস্পায়ার’। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ‘টিম স্বাধীন নারী’। বিশ্বের ১২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মূল্যায়নে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সির্িটর অবস্থান এখন প্রথম। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবন্ধিত অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৫৮০ জন।
রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাল্ট প্রাইজের ক্যাম্পাস ফাইনালের চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার আপ ও দ্বিতীয় রানার আপ দল বিভিন্ন রিজিয়নাল ফাইনালে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে।
‘ক্রাফটিকস’ চ্যাম্পিয়ন দলের তিন সদস্য হলো তিশা ফারহানা, রইস উদ্দিন ফাহাম ও নওরিন নিশিতা। তারা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত রিজিওনাল ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করবে। এছাড়া ‘টিম এস্পায়ার’ দল মালয়েশিয়ায় এবং ‘টিম স্বাধীন নারী’ দল ভারতের মুম্বাইয়ে রিজিওনাল ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। আর রিজিওনাল ফাইনালে বিজয়ী হতে পারলে আগামী বছরের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বিজয়ী দল পাবে ১০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার।
হাল্ট প্রতিযোগিতা বিশ্বের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতামূলক আসর। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানমূলক উদ্ভাবনী আইডিয়া উপস্থাপন করে এই প্রতিযোগিতায়। হাল্ট পরিবার ২০০৯ সাল থেকে এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। আইডিয়া বা স্টার্টআপ বাস্তবায়নের জন্য বিজয়ী দলের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১ মিলিয়ন ডলার।
দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করেন এবং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সবুর খান বলেন, শুধু হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেউ চলবে না। বিশ্বের সব ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের নাম সম্মানের সাথে তুলে ধরতে হবে বিশ্বদরবারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সমস্যা সংকুল দেশ। এ কারণেই দেশটি অসীম সম্ভাবনাময়। সমস্যাগুলোর সমাধানে যেসব তরুণ উদ্ভাবনী মেধা প্রয়োগ করতে পারবে তারাই জীবনে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হবে।
ক্যাম্পাস ফাইনাল পর্বে বিশেষজ্ঞ জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লাইট ক্যাসল পার্টনারসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিজন ইসলাম, ক্লাউড ক্রিয়েটিভ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী নাশিদ আলী, এবং জাতিসংঘের ক্যাপিটাল ডেভেলাপমেন্ট ফান্ডের ইনোভেশন অ্যান্ড ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্টের জাতীয় পরামর্শক তানজিম ফেরদৌস। এ আয়োজনে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল স্কিল জবস, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেড, টেকনোহেভেন লিমিটেড ও আর্ট এক্সপ্রেস টুইস্টেড ক্যাফে। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল একুশে টেলিভিশন, দি ডেইলি স্টার, প্রথম আলো এবং কালারস্ এফএম ১০১.৬। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের প্রধান মো. শিবলী শাহরিয়ার, ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খান, ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের প্রভাষক ও হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতার উপদেষ্টা আসিফ ইকবাল, বিউটি আক্তার, হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক ইকবাল হোসেন শিমুল প্রমুখ।