Logo
Logo

ফিচার

চা পানে যে ভুল করা যাবে না

Icon

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:২২

চা পানে যে ভুল করা যাবে না

ছবি : সংগৃহীত

আপনার দিন কি চা ছাড়া অসম্পূর্ণ? এক কাপ চা যেন আমাদের দিনের সঙ্গী। তবে চা কি সত্যিই শরীরের জন্য উপকারী, নাকি ক্ষতিকর? জেনে নিন সঠিক সময় এবং সঠিক উপায়ে চা পান কীভাবে আপনার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

মেডিক্যাল রিসার্চে দেখা গেছে, চা এবং কফি দুটোতেই ক্যাফেইন থাকে। এটি আমাদের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে স্টিমুলেট করে। তবে, দিনে ৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করা স্বাস্থ্যকর। এক কাপ চায়ে সাধারণত ৩০-৬৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। তাই দিনে এক বা দুই কাপ চা পান করা ক্ষতিকর নয়।

চা পানের ভুল পদ্ধতি

আমরা অনেকেই চা পানের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানি না। চা পানের নিয়ম জানা থাকলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন পেটে গ্যাস্ট্রিক, প্রদাহ ইত্যাদি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এসব সমস্যা তখন শুরু হয় যখন আমরা চায়ের সঙ্গে অতিক্তে খাবার হিসেবে বিস্কুট, পাকোড়া বা স্ন্যাকস খাই। এই খাবারগুলোর অতিরিক্ত ক্যালোরি আমাদের শরীরে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায় এবং অ্যাসিড তৈরি করে। যা গ্যাস্ট্রিক এবং অন্য অনেক রোগের কারণ হতে পারে। তাই চায়ের সঙ্গে ‘টা’ (স্ন্যাকস) খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

খালি পেটে চা নয়

খালি পেটে দুধ চা খেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এমনকি এ কারণে বিগড়ে যেতে পারে অন্ত্রের স্বাস্থ্য। যার ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাছাড়া খালি পেটে চা খেলে দেহে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়, যা মেজাজ খারাপ করে। এমনকি ভারী খাবারের পরপরই চা না খাওয়াই ভালো। তাহলে চা খাবেন কখন? 

চা খাওয়ার সঠিক সময়

ভারী খাবারের অন্তত ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর চা খান। চা খেলে ঘুমেরও ক্ষতি হয়। সহজেই ঘুম আসতে চায় না। তাই রাতে ঘুমানোর অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে চা পান করুন। এতে ঘুম ও হজম ভালো হবে এবং স্ট্রেস লেভেল কমবে। 

চা খাওয়ার সঠিক উপায় 

চায়ে চিনি ও দুধ না মেশানোই ভালো। লাল চা বা ফ্লেভারড চা বেছে নিতে পারেন। যেমন- গ্রিন টি, হিবিস্কাস টি বা ক্যামোমাইল টি।

চা আপনার জীবনের আনন্দ হতে পারে, তবে এটি যেন সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক উপায়ে হয় তা লক্ষ্য রাখুন।

 টিএ/এসবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর