বিয়ে মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিয়েকে আমাদের সমাজে ‘ফরজ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। মানে আবশ্যক। করতেই হবে। কিন্তু বিয়ে করার আগে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, কখন বিয়ের সঠিক সময় বা বয়স?
বিয়ের জন্য বয়স বিবেচনার আগে প্রয়োজন পরিণতবোধ। পরিণতবোধ না আসলে যৌথজীবন সুখের নাও হতে পারে। মানুষ একমাত্র পরিণত হলেই অন্য একটি মানুষের সঙ্গে জীবন কাটানোর উপযুক্ত যুক্তি পেয়ে থাকে।
মানুষের পরিণতবোধ জন্মালেই সে জীবন সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসতে পারে। তার অস্থিরতা কেটে যায়। সুতরাং তারুণ্যের অস্থিরতা কেটে যাওয়ার পরই যৌথজীবনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। নতুবা দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞ গবেষকরা বলছেন, ২৮ থেকে ৩০ বছর বয়সই বিয়ের উপযুক্ত সময়। এমনকি এই সময়টাকে তারা শ্রেষ্ঠ সময় বলেও অভিহিত করেছেন। এ ছাড়া এ বয়সে জীবনের ভালোমন্দ বুঝতে শেখে মানুষ। খুবই শান্তভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা আসে। নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত করার জন্য এই বয়সই শ্রেষ্ঠ।
সুতরাং বিয়ের ক্ষেত্রে একটু স্থিরভাবে চিন্তা করা দরকার। কারণ বিয়েই অনেক সময় জীবনটাকে এলোমেলো করে দেয়। ভুল মানুষকে নির্বাচন করে সারা জীবন আফসোস না করে সঠিক মানুষ নির্বাচনের জন্য সময় নেন। ২৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেই ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
অবশ্য এই বয়সের আগে বা পরেও অনেকের পরিণতবোধ আসে। সে হিসেবে পরিণতবোধটাই আসল। যখনই পরিণতবোধটা আসবে, অর্থাৎ সংসারের দায়িত্ব নেওয়া, স্থিরচিত্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন হলেই জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়া ভালো।
এমজে