প্রেম হলো দুটি মানুষ এক সত্তা হয়ে যাওয়ার নাম। প্রায় সবার জীবনের কোনো না কোনো সময় প্রেম আসেই। কারো প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়, আবার কারো প্রেম ভেঙে যায়। এতে হতাশ হয়ে তরুণ-তরুণীরা আত্মহত্যার পথও বেছে নেন। আবার অনেকে সব ছেড়েছুঁড়ে পাগলের বেশে জীবন কাটান। প্রিয় মানুষকে হারানোর বেদনা কাটিয়ে উঠতে না পেরে জীবনকেই আর পাত্তা দেন না। বোহেমিয়ানের মতো জীবন কাটান। জীবন সংসারে মনোযোগ থাকে না তেমন। ‘জিন্দালাশের’ মতো জীবন কাটান, কাটাতে হয় বলে।
প্রেমের শুরুতে তো একে অপরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস আর ভালোবাসা থাকে। একে অন্যকে ছাড়া একটি মুহূর্তও ভাবতে পারেন না। অনেকটা হরিহর আত্মার মতো। কিন্তু তারপরও কেন একটা সময় পর আর প্রেম টেকে না?
প্রেম না টেকা কিংবা ভেঙে যাওয়ার জন্য কিছু কারণ দায়ী। সেগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। যেমন, সঙ্গীকে দোষারোপ করা উচিত না। এতে দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গীর ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিতে হবে। সঙ্গী পছন্দ করেন না, এমন কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।
একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস ভঙ্গ করা যাবে না। বিশ্বাস ভঙ্গ হলেই সেই সম্পর্কে দুর্বলতা চলে আসে। তাই এ বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
আপনি পুরুষ হোন আর নারীই হোন, আপনার সঙ্গীর ভরসার পাত্র হয়ে উঠুন। যাতে সুখ-দুঃখে সঙ্গীটি আপনার কাছে মানসিক শান্তি ও স্বস্তি অর্জন করতে পারে।
কখনো সঙ্গীকে তার দুর্বল দিক উল্লেখ করে কথা বলা কিংবা খোঁচা দেওয়া যাবে না। এতে সঙ্গীটির হীনম্মন্যতা চলে আসতে পারে। যার প্রভাব পড়বে সম্পর্কে।
সবশেষে প্রেম কিংবা বিয়ের ক্ষেত্রে এমন সঙ্গী পছন্দ করবেন, যাতে একসঙ্গে আজীবন থাকার জন্য মানসিক শান্তিটুকু থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, সঙ্গীর অনেক অর্থ-সম্পদ, প্রতিপত্তি, রূপ-সৌন্দর্য-লাবণ্য রয়েছে। কিন্তু তার আচার-ব্যবহার অদ্ভুত। সঙ্গীকে সম্মান দিতে জানে না। একটা অহংকারী মনোভাব নিয়ে থাকে। সঙ্গীকে ছোট করে দেখে। আনুগত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ফলে প্রেম কিংবা সংসার টেকা মুশকিল হয়ে পড়ে।
এমজে