Logo

ফিচার

রাতে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম জরুরি কেন?

Icon

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০২

রাতে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম জরুরি কেন?

ফাইল ছবি

বছরের প্রথম দিন যে রেজ়োলিউশন নেওয়া হয়, সেটা ফেব্রুয়ারি আসার আগেই ভেঙে যায়। অনেকে তো ভুলেই যান যে কী রেজোলিউশন নিয়েছিলেন বছরের শুরুতে। সুস্থ জীবন কাটানোর অঙ্গীকার নিলে, এই রেজ়োলিউশন ভাঙবে না ‘গ্যারান্টি’। শুধু আপনাকে ঘুমের সময়ের দিকে নজর দিতে হবে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। সেটা না হলেই, কিংবা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে শরীরে হাজারো সমস্যা দেখা দেবে। দেহের জৈবিক ঘড়িকে ঠিক রাখতে রাত ৮টায় ঘুমনোর এবং ভোর ৪টায় ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ, ৮ ঘণ্টা। এতে সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। রাতে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম জরুরি কেন? আসুন জেনে নিই।

ঘুমের মান উন্নত হয় : দেহের জৈবিক ঘড়ি যদি প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলে, তা হলে লাভ শরীরেরই। রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লে, ঘুম খুব ভালো হয়। ঘুম গাঢ় হয়। ঘুমের বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে, যার মধ্যে একটি হলো ‘র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট’ বা ‘আরইএম’। এই সময় চোখের পাতা দ্রুত কাঁপতে থাকে এবং ঘুম পাতলা হয়ে আসে। সঠিক সময় ঘুমোলে এবং ঘুম থেকে উঠলে এই ‘আরইএম’ও ঠিকঠাক হয়। এটি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এনার্জি লেভেল বাড়ে : রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে, সারাদিন কাজের এনার্জি পাবেন না। ঘুমে চোখ ঢুলতে থাকবে। দিনে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম শরীরের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। আপনি যতক্ষণ ঘুমোচ্ছেন, তার মধ্যে শরীরে পুনরুজ্জীবিত হয়। এর জেরে সকালে আপনি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ ফিল করেন এবং সারাদিন এনার্জিতে ভরপুর থাকেন। 

হরমোনের ভারসাম্য : রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে দেহে কর্টিসল হরমোনের (স্ট্রেস হরমোন) মাত্রা বাড়তে থাকে। এর জেরে শরীরে স্ট্রেস বাড়ে। দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক চাপে ভুগলে মানসিক অবসাদও বাড়ে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। দেহের প্রতিটা হরমোনের নিজস্ব কাজ রয়েছে। কিন্তু তার জন্য দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। এই কাজটা ঘুমের মধ্যে ঘটে। যে কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে, ডায়াবিটিস, ডিপ্রেশনের মতো নানা হরমোনজনিত সমস্যা দেখা দেয়।

মেটাবলিজম উন্নত করে : শুধু ডায়েট ও যোগব্যায়াম করে রোগা হওয়া যায় না। দেহের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বিপাক হারকে ঠিক রাখা দরকার। বিপাক ক্রিয়া যাতে ঠিকমতো কাজ করে তার জন্যও ঘুম দরকার। ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম মেটাবলিক প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। হজমজনিত সমস্যা কমায়। অ্যাসিড রিফ্লাক্স, ব্লোটিংয়ের সমস্যা দূর করে। 

এই কাজ করলে ঘুম গাঢ় হবে:

১) ঘুমোতে যাওয়ার সময় ফোন নিয়ে বিছানায় যাবেন না। চেষ্টা করুন ঘুমোনো ও ঘুম থেকে ওঠার সময়কে ঠিক রাখতে। এতে দেহের জৈবিক ঘড়িও স্বাভাবিক থাকে। 

২) বিকালের পর ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় (চা-কফি) এড়িয়ে চলুন। এমনকি ভারী খাবার খাবেন না, শরীরচর্চাও করবেন না। বই পড়তে পারেন, মেডিটেশন করতে পারেন। পাশাপাশি গান শুনতে পারেন।

এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর