পনির বাটার মশালা থেকে পালক পনির বা পনির টিক্কা হলে তো কথাই নেই। আবার কন্টিনেন্টাল যেকোনো পদ হোক অথবা স্যান্ডউইচ চিজ ছাড়া ভাবাই যায় না। কিন্তু পনির ও চিজ কি সবার জন্যই উপকারী?
পনির, চিজ় খেতে কার না ভালো লাগে! অনেকেই মনে করেন পনিরে চর্বি খুব বেশি থাকে, তাই নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলেন, হলুদ পনির পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং নিয়মিত খেলেও কোনো ক্ষতি নেই। চিজও তাই। তবে খেতে হবে পরিমাণ মতো, হিসেব কষে।
পনিরে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। ১০০ গ্রাম পনিরের মধ্যে থাকে ১১ গ্রাম প্রোটিন। তা ছাড়া, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ পনির আমিষ খাবারের খুব ভালো বিকল্প হিসেবে বহুদিন ধরেই জায়গায় করে নিয়েছে ডায়েট চার্টে।
পুষ্টিবিদদের মত, পনিরের ভিটামিন বি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পনির রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পনিরে থাকে ফোলেট, যা ভ্রুণের বিকাশে সাহায্য করে। ফোলেট এক ধরনের বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন যা রক্তে লোহিত কণিকা উৎপাদনেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই অন্তঃসত্ত্বাদের ডায়েটেও পনির রাখা যেতে পারে।
তবে পনিরের ভালো গুণ আছে বলেই যে সারাদিনের ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে পনির খেয়ে ফেলবেন তা কিন্তু নয়। প্রতি দিন ৫০-১০০ গ্রামের মতো পনির খাওয়া যেতেই পারে, তবে শরীর বুঝে। যাদের স্থূলত্ব রয়েছে, তারা পনির কম করেই খাবেন। কারণ বেশি পরিমাণে খেলে ক্যালোরি বেড়ে যেতে পারে।
বেশি পনির খেলে হজমের সমস্যাও হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে পনির বুঝেশুনে খেতে হবে। পনিরে নুনের মাত্রা বেশি তাই হার্টের রোগ থাকলে পনির খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রতি ১০০ গ্রাম পনিরে ৩৩০ থেকে ৪৫০ ক্যালরি পাওয়া যায়। যা শরীরচর্চার মাধ্যমে কমানো বেশ কষ্টকর। তাই অল্প করে পনির খাওয়াই ভালো।
চিজও খেতে হবে মেপেই। হার্ট সুস্থ রাখতে প্রতি দিনের ডায়েটে ৪০ গ্রামের মতো চিজ রাখা যেতেই পারে। চিজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও প্রোটিন যা হার্টের সমস্যা দূরে রাখবে। চিজে ফ্যাটের মাত্রা বেশি হলেও এতে ভরপুর পরিমাণে আছে ক্যালশিয়াম যা অতিরিক্ত ফ্যাট শোষণে বাধা দেয়। কিন্তু পরিমাণে বেশি হলেই কিন্তু চিজ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। চিজ়ে ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’ আছে, তাই কম করে খাওয়াই ভালো।
এমজে