ছোট থেকে বড় এমন কেউ নেই যে চকলেট খেতে পছন্দ করেন না। অনেকেরই পছন্দের তালিকায় সাদা চকলেট বা হোয়াইট চকলেট রয়েছে। তবে হোয়াইট চকলেট আসলে চকলেট নয়। এর মধ্যে নেই কোনো ধরনের চকলেট। তাহলে প্রশ্ন হল চকলেট না থাকলে কি আছে এর ভেতর? আমরা একে কি কারণে হোয়াইট চকলেট বলে থাকি? এই নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্কও রয়েছে।
এটি সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে সুইস কোম্পানি নেসলে ১৯৩৬ সালে তৈরি করেছিল। উৎপাদনের পর প্রথম দিকে হোয়াইট চকলেট আসলেই চকোলেট কিনা তা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে অনেক বিতর্ক ছিল। তবে ধীরে ধীরে স্বাদের উপর নির্ভর করে এর গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়। পরবর্তীতে একুশ শতাব্দীতে, প্রিমিয়াম হোয়াইট চকলেট উৎপাদন শুরু হয়। তিনটি ঐতিহ্যবাহী চকলেটের মধ্যে , সাদা বা হোয়াইট চকলেটটি সবচেয়ে নতুন।
ডার্ক চকলেট মূলত কোকো বীজ দিয়ে তৈরি হয়। পরে কোকোয়া পাউডারে পরিণত করা হয়। এই বীজের কারণেই এর রং কালো হয়ে থাকে। যেহেতু হোয়াইট চকলেটে কোনো বীজের ব্যবহার নেই তাই এর রং সাদা হয়। ডার্ক চকলেটে ৩৫ শতাংশ কোকোয়া থাকে। মিল্ক চকলেটে কোকোয়ার পরিমাণ থাকে ১০ শতাংশ।
তবে হোয়াইট চকলেট তৈরি করতে কোকো বীজের ব্যবহার হয় না। আক্ষরিক ভাবে চকলেট ব্যবহার না করলেও কোকোয়া বীজ থেকে নির্গত কোকো বাটার বা মাখনের ব্যবহার হয় হোয়াইট চকলেটে।একটি মেশিনে কোকো বাটার এর সাথে একে একে চিনি ও গুরা দুধ যুক্ত করা হয়। যা পরবর্তীতে তরল হোয়াইট চকলেটের মিশ্রণ তৈরি করে। তারপর একে চকলেট বারে রূপ দেওয়া হয়ে থাকে।
পুরোপুরি চকলেট দিয়ে তৈরি না হলেও হোয়াইট চকলেট বানাতে কোকো বাটার ব্যবহার হয় বলে অনেকেই একে চকলেট বলে থাকে।
টিএ