উদ্বোধনের দিন জমেনি বইমেলা, চলছে স্টল নির্মাণ
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৫
বইমেলার উদ্বোধনী দিনেও চলছে স্টল নির্মাণের কাজ /ছবি : বাংলাদেশের খবর
অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী দিনেও চলছে স্টল নির্মাণের কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় স্টল নির্মাণে সময় বেশি লাগছে। প্রবেশ পথেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা গেছে। মেলার প্রথম দিন হিসেবে খুব বেশি দর্শনার্থী কিংবা ক্রেতার দেখা মেলেনি।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে স্টল নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেছে মেলা প্রাঙ্গণে।
প্রবেশপথে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, এখনো অনেক স্টলের কাজ চলছে। দর্শনার্থী-ক্রেতাও কম। যে কারণে প্রবেশ পথে তল্লাশি করা হচ্ছে না। তবে আগামীকাল (রোববার) থেকে মেলায় প্রবেশের সময় তল্লাশি শুরু করবে পুলিশ।
জানতে চাইলে তাম্রলিপি প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি নাইম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, প্রথম দিন মানুষ ঘুরতে আসে। এজন্য বই কেনার প্রবণতা কম। আজ ক্রেতা-দর্শনার্থী ওই রকম না থাকলেও এক সপ্তাহ পর ভিড় বাড়বে। তখন মানুষ বইও কিনবে।
গিপার্স মার্কের বিক্রয় প্রতিনিধি বায়েজিদ বলেন, আজ মেলার প্রথম দিন হলেও এখনো অনেক স্টলের কাজ হয়নি। তাছাড়া মেলার প্রথম কয়েকদিন একটু কম জনসমাগম থাকে। যত দিন যায় তত ভিড় বাড়ে। অতীতে এমনটাই দেখা গেছে।
১৬৩ নম্বর স্টলের আধুনিক প্রকাশনীর বিক্রয় ইনচার্জ মেহেদী হাসান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আমাদের স্টলগুলো যারা তৈরি করেন, তারা একাধিক স্টলের কাজ করছেন। ফলে তাদের কাজ এবার বেশি থাকায় আমাদের স্টল তৈরি করতে দেরি হয়েছে।
২২৪ নম্বর স্টলের অরণ্য প্রকাশনীর স্টল ইনচার্জ ইসহাক হক বাংলাদেশের খবরকে বলেন, বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুতের কাজ না হওয়ায় আমাদের স্টল নির্মাণে সময় লেগেছে। তাছাড়া অনেক আগেই আমাদের স্টলের জন্য কাঠ কেটে রাখা ছিল। বিদ্যুৎ থাকলে আরও ২-৩ দিন আগেই স্টলের কাজ শেষ হয়ে যেত।
অনশ্বর প্রকাশনের প্রকাশক বহ্নি কুসুম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, স্টল তৈরির কন্টাক্টররা কাজের দিন তারিখ ঠিক করলেও সঠিক সময়ে কাজে আসে না। গতকাল আমাকে জানিয়েছিল, আজকেই বই নিয়ে আসতে। তারা স্টল তৈরি করে ফেলবে। কিন্তু এসে দেখি স্টলের কাজই শেষ হয়নি। তবে ভাগ্য ভালো যে আমি বই নিয়ে আসিনি। বই নিয়ে এলে আমাকে ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
এদিকে প্রথম দিন উপলক্ষে বই মেলায় ঘুরতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শায়েখ মাহমুদ। তিনি বাংলাদেশের খবরকে বলেন, প্রথম দিন হিসেবে ভিড় কম থাকায় মেলায় ঘুরতে এসেছি। বই কিনব মেলার শেষের দিকে। এখন ঘুরে দেখছি কোন বইটা কেনা যায়। মেলায় কী ধরনের বই এসেছে এগুলো যাচাই বাছাই করে দেখছি।
- জেএফ/ওএফ