প্রযুক্তির এই আধুনিক যুগে আমরা প্রতিদিন কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইলসহ নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। কিন্তু এসব প্রযুক্তির আবিষ্কারকদের সম্পর্কে জানার সুযোগ খুব কমই হয়। সেই শূন্যতা পূরণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান (গ্রন্থে প্রকাশ : এম এম রহমান) নিয়ে এসেছেন নতুন গ্রন্থ ‘কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের গল্প’।  

বইটিতে কম্পিউটার বিজ্ঞানের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্বদের জীবন ও তাদের যুগান্তকারী অবদান তুলে ধরা হয়েছে। চার্লস ব্যাবেজ, অ্যাডা লাভলেস, অ্যালান টিউরিং, জন ভন নিউম্যান, গ্রেস হপার, টিম বার্নার্স-লি, ডোনাল্ড নুথ, ডেনিস রিচি, লিনাস টরভাল্ডসসহ অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানীর কীর্তিগাঁথা স্থান পেয়েছে এতে। তাদের উদ্ভাবন কেবল প্রযুক্তি বিশ্বকে বদলে দেয়নি, বরং মানব সভ্যতার গতিপথই পাল্টে দিয়েছে।  

শুধু বিজ্ঞানীরাই নয়, বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের পথচলার গল্পও বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে। স্টিভ জবস, বিল গেটস, ইলন মাস্ক, মার্ক জুকারবার্গ, জ্যাক মা-এর মতো ব্যক্তিত্ব কীভাবে প্রযুক্তি জগতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, কীভাবে তাঁদের উদ্ভাবনী চিন্তা বিশ্বকে বদলে দিয়েছে—এসব গল্প বইটির একেকটি অধ্যায়ে ফুটে উঠেছে।  

বইটি নিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান গবেষণায় আগ্রহী হতে হবে। ‘কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের গল্প’ বইটি সহজ ভাষায় লেখা হয়েছে, যা শিক্ষার্থী, গবেষক এবং সাধারণ পাঠকদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বইটি নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তির জগতে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।  

বইটি সম্পর্কে লেখক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, কম্পিউটার বিজ্ঞানের ইতিহাস শুধু তথ্যগত নয়, বরং এটি এক অনুপ্রেরণার গল্প। বইটিতে বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের সফলতার গল্প তুলে ধরেছি, যাতে তরুণরা অনুপ্রাণিত হয় এবং নিজেদের ক্যারিয়ার গঠনে দিকনির্দেশনা পায়।  

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ মেঘদূত প্রকাশন থেকে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। 

মো. সাইফুল ইসলাম/এমএইচএস