বিন ইয়ামিন মোল্লা
ছাত্র অধিকার পরিষদ জন্ম না নিলে চব্বিশের অভ্যুত্থান হতো না

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৫:৩৯
-67c580f6a0429.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
২০১৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জন্ম না হলে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান হতো না। মুক্তিযোদ্ধারা যেমন এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাদের সন্তানদেরাও আমাদের কাছে সর্বোচ্চ সম্মানের। রাষ্ট্রের যত ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে সরকার তাদেরকে প্রদান করুক। কিন্তু কোটা প্রদান করে বৈষম্য সৃষ্টি করা আর যাবে না না বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সাত মাস যেতে না যেতেই আমরা দেখছি বৈষম্যবিরোধী যে চেতনা সেটির সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে গিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা সুস্পষ্টভাবেই এটি মনে করি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে এই ধরনের কোন বৈষম্যমূলক কোটা থাকতে পারে না। আমাদের শিক্ষার্থী বন্ধুরা ভর্তির ক্ষেত্রে যখন অনিশ্চয়তার ভিতর দিয়ে ভর্তি হবে তখন তাদের মধ্যে এক ধরনের বৈষম্যমূলক চিন্তা-চেতনা ভর করবে, যে ধরনের চিন্তা চেতনা ও বৈষম্যমূলক কর্মকাণ্ড দেখতাম শেখ হাসিনার আমলে। তিনি ভাবতেন এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের মালিকানা তার বাবার এবং এদেশে তার প্রায়োরিটি রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে যে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়েছে তার নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। বাংলাদেশের তরুণরা, ছাত্ররা, ছাত্র-জনতারা যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের স্পিরিটের জায়গা থেকে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা মনে করি না কেবলমাত্র আমরাই এদেশের মালিক। একটা বৈষম্যমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গিয়ে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। ২০২৪ সালে এসে গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়েছে। একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যই আমাদের লড়াই।
রেলওয়েতে, প্রাইমারিতে এখনো পোষ্য কোটা রয়েছে। এই কোটার বিরুদ্ধে সরকার এখনো পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নাই। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জন্মই হয়েছে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সেই ছাত্র অধিকার পরিষদ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই বৈষম্যমূলক কোটার অপসারণের জন্য যদি ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে ছাত্র অধিকার পরিষদ কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবে।
এমএমআই/এমএইচএস