শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে জবিতে মিছিল, ধর্ষকের ‘প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড’ দাবি

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ১৫:০৮

মাগুরায় আট বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর থেকে শুরু হয়ে কলা ভবন প্রদক্ষিণ করে ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় মিছিলটি।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ধর্ষকের শাস্তি প্রকাশ্যে হওয়ার দাবি জানিয়ে ‘বিচার বিচার বিচার চাই, ধর্ষণকারীর বিচার চাই’; ‘ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ড, দিতে হবে দিতে হবে’; ‘ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ড, প্রকাশ্যে দিতে হবে’; ‘ধর্ষণকারী ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ স্লোগান দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘জুলাইয়ের পরে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তারা ঠিকভাবে ঘটনা তদন্তও করেনি। ধর্ষকের প্রকাশ্যে শাস্তির বিষয়ে মানবাধিকারের কথা বলা হয়। তাতে ধর্ষক জাতি মনে করে, ধর্ষণের ফলে তাদের তো কোনো বিচার হচ্ছে না। এতে ধর্ষক শ্রেণি ধর্ষণে উৎসাহ পায়। তাই ধর্ষকের প্রকাশ্যে বিচারের বিপরীতে মানবাধিকারকে দাঁড় না করিয়ে, ধর্ষকের প্রকাশ্যে কিংবা অপ্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ডের আইন চালু করতে হবে।’
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন মিয়া বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মাগুরায় আট বছর বয়সী একটি শিশুকে তার বেনের শ্বশুরের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। এতে আমি পুরুষ হিসেবে লজ্জিত। দীর্ঘদিন এটা বলা হয়েছে নারীর পোশাক, নারীর ওড়না কিংবা খোলামেলা ঘোরাফেরাকে কোড করা হয়। কিন্তু গতকালকের শিশুটির কী অপরাধ ছিল যে তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হলো। আমরা ধর্ষকের প্রকাশ্যে শাস্তির আইন প্রণয়ন করার দাবি জানাচ্ছি। যাতে এহেন ঘৃণ্য কাজ করতে কেউ সাহস না পায়।’
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান বলেন, ‘যখন একজনকে ধর্ষণ করা হয় তখন তার পোশাকের কথা বলা হয়। কিন্তু ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে এহেন কথা বলা কোনোভাবেই উচিত নয়। এতে ধর্ষকের পক্ষে কথা বলা হয়। ধর্ষকের প্রকাশ্যে শাস্তির বিষয়ে মানবাধিকারের কথা বলা হয়। কিন্তু ধর্ষেকর শাস্তি নিশ্চিত না করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়েছে। ধর্ষকের প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্য শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে আইন প্রণয়ন করতে হবে। আর যদি তা করতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের দায়িত্ব থেকে সরে যাক।’
- জেএন/এমজে