-67cc2fe9d9086.jpg)
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েস এবং বহ্নিশিখা কর্তৃক আয়োজিত ২৪-এর চেতনায় নারীর অধিকার-সমতা ও ক্ষমতায়ন শীর্ষক আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত ব্যানারে এ দিবস পালন করে ১৮টি হলের নারী শিক্ষার্থীরা।
আলোচনা সভা শুরু হওয়ার আগে নারী দিবসের র্যালিটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্য হয়ে আবার শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, নারীরা কর্মক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও পরিবার ও কর্মজীবনের ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন। সমান মজুরি, উচ্চপদে সুযোগ ও মাতৃত্বকালীন সুবিধার অভাব চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়লেও নারীর ক্ষমতায়ন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি। নারীরা দেরিতে বিয়ে, সন্তান না নেওয়া বা সিঙ্গেল মাদার হওয়ার কারণে সামাজিক চাপের মুখে পড়েন। অনেক ক্ষেত্রে পরিবার ও সমাজের অসাধু ব্যক্তিরা তাদের নাম ব্যবহার করে বেআইনি কাজ চালায়, যার ফলস্বরূপ নিরপরাধ নারীরা আইনি ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হন। নারী অধিকার নিয়ে কথা বললেই নারীদের হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়, যা তাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে। যদিও দেশে অনেক আইন রয়েছে, তবে বাস্তবে নারীবান্ধব আইনি পরিবেশ এখনো গড়ে ওঠেনি।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে নারী নির্যাতন ও সহিংসতার হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোনো দুর্যোগ বা সংকটে নারীদের ওপর সহিংসতা বৃদ্ধি পায়, যা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাবলীর মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে। ২০২৪ সালেই ২৫২৫ জন নারী ও কন্যাশিশু লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৫১৬ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ৩৬৭ জন কন্যা শিশু। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৪২ জন। ধর্ষণের ফলে ২৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং ৬ জন আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়াও ৯৪ জন ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন। যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৮১ জন, এবং বিভিন্ন কারণে ৫২৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৭ জন কন্যাশিশু। পারিবারিক সহিংসতার কারণে ২৫ জন কন্যাশিশু শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতনের ফলে ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং ১ জন আত্মহত্যা করেছেন।
নারী সহিংসতা রোধে বহ্নিশিখা ৬টি দাবি পেশ করে।
দাবিগুলো হলো-
১. নিরাপত্তা ও আইনি ব্যবস্থা
২. শিক্ষা ও সচেতনতা
৩.স্বাস্থ্য ও প্রজনন সেবা
৪. কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও সমান সুযোগ
৫. পরিবহন ও গণপরিসরে নিরাপত্তা
৬. আইন সংস্কার ও ন্যায়বিচার