কুবিতে প্রশ্নফাঁস কাণ্ড : জড়িতদের স্থায়ী অব্যাহতির দাবি

কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১৬:৩০

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের স্থায়ীভাবে অব্যাহতির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘বিপ্লবী ঐক্যজোট’ ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘বিচার চাই বিচার চাই, প্রশ্নফাঁসের বিচার চাই’, ‘প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা চাই’, ‘প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের চিরস্থায়ী অব্যাহতি চাই’— ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘এসব অসৎ উপায়ে যারা বিভাগে প্রথম হয়, তারাই পরবর্তীতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায়। ফলে শিক্ষাব্যবস্থার মান নষ্ট হচ্ছে। তাই আমরা দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শিব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমরা দেখছি, প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে উচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষক বানানো হচ্ছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থা বাঙালি জাতিকে কী দেবে? যারা প্রশ্নফাঁসে জড়িত, তাদের পদত্যাগ চাই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের ছবি পোস্টার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ঝুলিয়ে দেওয়া হোক।’
স্মারকলিপির প্রধান দাবিগুলো হলো—
- প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
- শুধু প্রশ্নফাঁস নয়, নাম্বার টেম্পারিং ও নারী শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাবের মতো অভিযোগগুলোকেও গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে হবে।
- অভিযুক্ত শিক্ষক যদি দোষী প্রমাণিত হন, তবে তাকে আজীবনের জন্য চাকরিচ্যুত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে একটি বেনামি ই-মেইলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ আসে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩ মার্চের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষককে তদন্ত চলাকালীন বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর পাশাপাশি ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
রিফাত/এটিআর