ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যাকাণ্ড : জাবির ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

জাবি
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১৪:১৫
-67d92babe1141.jpg)
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার এবং দুই সাবেক শিক্ষার্থীর সনদ সাময়িকভাবে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টাব্যাপী সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজন মিয়া, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সোহাগ মিয়া, ইংরেজি বিভাগের হামিদুল্লাহ সালমান, বায়োটেকনোলজি ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আহসান লাবিব, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের আতিকুজ্জামান আতিক, ইংরেজি বিভাগের মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান এবং ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
সনদ স্থগিত হওয়া সাবেক শিক্ষার্থীরা হলেন- সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫ ব্যাচের রাজু আহমেদ, অর্থনীতি বিভাগের ৩৩ ব্যাচের আবু সাঈদ ভূঁইয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ জানান, অভিযুক্তদের বহিষ্কারাদেশ ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হবে। একইভাবে যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে তাদের সনদও ছয় মাসের জন্য স্থগিত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরাসরি হত্যার পরিকল্পনার প্রমাণ না মিললেও তারা শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তবে আশুলিয়া থানার সংশোধিত এজাহারে ৩০২ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে, যা তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাসংক্রান্ত অধ্যাদেশের ধারা ৩-এর ২ (খ) অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। যা ১৯ মার্চ শেষ হবে।’
সিন্ডিকেট সভায় শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলার সংশোধিত এজাহার দাখিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শামীম মোল্লাকে একদল শিক্ষার্থী মারধর করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আশুলিয়া থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আমানউল্লাহ খান/এমআই