আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখান জাবি শিক্ষার্থীদের

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১৮:০৯

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। একই সাথে তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখান করেছেন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বাদ জুমা দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ হয়ে প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘খুনি লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘টেইক ব্যাক খুনি লীগ’, ‘জেনারেল ওয়াকার, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করো, করতে হবে, করতে হবে’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন। এ সময় বক্তরা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে দ্রুত সময়ের মধ্য নিষিদ্ধের দাবি জানান।
সমাবেশে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘যে ফ্যাসিস্ট দল বাংলাদেশে একাধিক গণহত্যা চালিয়েছে তাদেরকে নিষিদ্ধ করার জন্য নতুন কোনো কারণ দরকার নেই। আমরা মনে করি ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনাকে বিদায় করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখান করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইন্টেরিমকে বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগকে ফেরানোর কোনো পরিকল্পনা যদি আপনারা করেন, তাহলে ছাত্র-জনতা কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা আপনারা ২৪-এ দেখেছেন। আমরা সেনাবাহিনীকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই আপনারা যদি ঢাকার বাইরে অন্য কোনো দেশের বা অন্য কোনো এজেন্সির প্রেসক্রিপশনে চলতে চান তাহলে আপনাদেরকেও ছেড়ে কথা বলব না।’
ইসলামী ছাত্রশিবির জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলা মানে আমাদের শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করা। আমাদের শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবো না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী দল হিসেবে চিহ্নিত করে অতি দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে কারা রাজনীতি করবে সেটা ঠিক করবে বাংলাদেশের ছাত্রজনতা। পাশ্ববর্তী দেশের কোনো দেশের প্রেসক্রিপশনে আর বাংলাদেশ চলবে না।’
সমাপনী বক্তব্যে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে ছাত্রদের নেতৃত্বে। বাংলার ছাত্র-জনতা ঠিক করবে এই বাংলাদেশে কারা রাজনীতি করতে পারবে। এটা কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো এজেন্সি ঠিক করবে না।’
এমজে