ইফতারে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের উপস্থিতি, বাকৃবিতে ক্ষোভ

বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৪

‘জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী’ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষকদের সংগঠন সোনালী দলের ইফতার মাহফিলে আওয়ামীপন্থি জুনিয়র শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক সদস্য।
শিক্ষকদের অভিযোগ, বিগত পলাতক ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত ২০ জনের বেশি জুনিয়র শিক্ষককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা সংগঠনের আদর্শের পরিপন্থি। এর ফলে ইফতার মাহফিলে খাবারের সংকটও দেখা দেয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সোনালী দলের কৃষি অনুষদীয় কমিটির সভাপতি ও কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন জানান, আওয়ামীপন্থি জুনিয়র শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানতেন না।
পশুপালন অনুষদীয় কমিটির সভাপতি এনিম্যাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আহসান কবীর বলেন, আমি শুধু ইফতারে উপস্থিত হয়েছি। এ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না।
সোনালী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, যারা আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের দাওয়াত দিয়েছে, তাদের তদন্ত করে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ‘আওয়ামী দোষীদের ছাড় দেওয়ার মতো মানসিকতা সোনালী দলের নেই।’
৪ আগস্টের ‘শান্তি মিছিলে’ ছিলেন এমন শিক্ষকও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, শান্তি মিছিলে ছিলেন এমন শিক্ষকদের অনুষ্ঠানে যারা ডেকেছে, তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এ কাজটিও করবে আগামী সোনালী দল।
সোনালী দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান বলেন, আমরা কাউকে দাওয়াত দেইনি। তারা নিজেরাই আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। সামাজিকভাবে কেউ ইফতার করতে চাইলে না করা যায় না। তিনি আরও বলেন, এখানে ফ্যাসিস্টদের প্রশ্রয় দেওয়ার মতো কিছু হয়নি। ওরা ইফতার মাহফিলে আসতে চেয়েছে, কীভাবে না করি?
সোনালী দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আলী রেজা ফারুক বলেন, এটা সোনালী দলের অফিসিয়াল ইফতার নয়, বরং পারিবারিক ইফতার মাহফিল ছিল।
তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিকভাবে দেখার সুযোগ নেই। আমাদের সহকর্মী জুনিয়র শিক্ষকরা আগ্রহ দেখানোর কারণেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। তাদের অংশগ্রহণ মানেই এই না যে অফিসিয়ালি সোনালী দলে তারা যোগ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানটি সামাজিকভাবে দেখতে হবে।
ওই ইফতার মাহফিলে উপস্থিত একাধিক জুনিয়র শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, তাদের বিভাগীয় সিনিয়র শিক্ষক, যারা সোনালী দলের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন, তারাই দাওয়াত করেছিলেন।
আশিকুর রহমান/এমবি