Logo
Logo

ক্যাম্পাস

জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ

Icon

জবি প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩৪

জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ঘোষিত ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিকে ‘অছাত্র, অনিয়মিত ও ছাত্রলীগের পকেট কমিটি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ছাত্রদলের একটি অংশ। 

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে জবি শাখা ছাত্রদলের কয়েকটি গ্রুপ। 

বিক্ষোভকারীরা বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যেসব নেতাকর্মী আন্দোলন সংগ্রামে নিজেদের জীবনকে উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন, তাদের উপেক্ষা করে অনিয়মিত ও শাখা ছাত্রদলের ব্যানারে আন্দোলন না করা কর্মীদের কমিটি দেওয়া হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে যারা সবচেয়ে বেশি কারাবরণ করেছেন, তাদেরও রাজনীতি থেকে মাইনাস করার পরিকল্পনা হিসেবে এ কমিটি দেওয়া হয়েছে।”

কমিটিতে পদ না পাওয়া একাধিক নেতাকর্মী বলেন, “যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে, তা এই কমিটি বাস্তবায়ন করতে পারবে না। বরং ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের গৌরবোজ্জ্বল ইমেজকে নষ্ট করে বিভেদ সৃষ্টি করবে। আমরা এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করছি। কেন্দ্রীয় নেতারা নিজেদের মাই ম্যানকে ইউনিটগুলোতে বসাতে গিয়ে ত্যাগীদের সঙ্গে তামাশা শুরু করেছেন।”

জবি ছাত্রদলের সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস শুকুর আইমান বলেন, “দীর্ঘদিন পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটিতে বিগত দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে ছিলেন, তাদের বাদ দিয়ে নিজেদের পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে অ্যাক্টিভ দুই ব্যাচ—৯ম ও ১১ ব্যাচের কাউকে কমিটিতে রাখা হয়নি এবং ছাত্রলীগ থেকে ৫ আগস্টের পরে ছাত্রদলে যোগ দেওয়া ছাত্রদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। এমনকি যারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও নন, তারাও এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। আমরা এই কমিটিকে এক দিনও মানি না।”

জবি ছাত্রদলের সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত বলেন, “আমরা অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি চাই। যারা ৫ আগস্টের পরে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন, তাদেরকে কমিটিতে রাখা হয়েছে, অথচ অনেক সিনিয়র ও অভিজ্ঞ নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। রাজনীতিতে সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া স্বচ্ছতা সম্ভব নয়।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের কর্মী আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, “যারা আন্দোলন সংগ্রামের ব্যানার ধরার জন্য দ্বিতীয় ব্যক্তি খুঁজে পেত না, তারা এখন নেতা হয়ে গেছে। যারা ৫ আগস্টের পরে ছাত্রদলে যোগ দিয়েছে, তারাও এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে। আমরা এ কমিটিকে মানি না। আমরা আশা করি, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের কাছে দাবি জানাবো, অযোগ্যদের নিয়ে ঘোষিত এই কমিটিকে বাতিল করে যারা সবচেয়ে বেশি ত্যাগ করেছেন, তাদের হাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতৃত্ব দেওয়া হোক।”

এর আগে, দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক এবং বাংলা বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করে ২৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

জেএন/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর