জবি শিক্ষার্থীদের অনশনকে সাজানো নাটক বলল ছাত্রদল নেতা
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:২৭
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ ৩ দাবিতে অনশন করাকে শিক্ষার্থীদের সাজানো বলে আখ্যায়িত করেছেন শাখা ছাত্রদল নেতা রিয়াসসাল রাকিব। তিনি জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নিজ আইডিতে শিক্ষার্থীদের ৩ দফার এই আন্দোলনকে সাজানো নাটক বলে দাবি করে পোস্ট দেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “ছাত্র অধিকার পরিষদ, শিবির, সাংঘাতিক, তথাকথিত বৈষম্য বিরোধী, চোর, বাটপার, দালালদেরকে সাথে নিয়ে নাটক সাজাইয়া স্টুডেন্টদের মাঠে নামাইয়া আন্দোলন ভালোই হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য ছিল জকসু ইলেকশনের জন্য নিজেদের ফেইস ফোকাস করা। আমরা ধৈর্য্য সহকারে সব কিছু অবজার্ভ করেছি। আমরা কোনো ক্রেডিট নেয়ার জন্য আন্দোলনে আসিনি। সবচেয়ে বড় সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও আমাদেরকে মাইনাস করেই সবকিছু করা হয়েছে। তবুও আমরা পাশে ছিলাম।”
তিনি আরো লেখেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীদের চোখে ধোঁয়া দিয়ে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে আগামীতে এই ধরনের মুনাফিক মার্কা আন্দোলনের স্বপ্ন দেইখেন না। আর ভুলেও নেতৃত্ব দেয়ার চিন্তা কইরেন না। মুনাফিকদের সহযোগিতা করা, পা চাটা গুটি কয়েক মুনাফিক শিক্ষকদের জন্য ও একই বার্তা।”
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা রিয়াসাল রাকিব বলেন, এই আন্দোলনে শুরু থেকে ছাত্রদল পাশে ছিল। কিন্তু শেষে যারা কর্মসূচি ঘোষণা করছে, তারাও একটি ছাত্র সংগঠনের। তারা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নয়। রাকিবকে আমি চিনি, সে একটা সংগঠনের সভাপতি। আর শিবিরের ছিল দুইজন প্রতিনিধি। কিন্তু একটা আন্দোলনে সব সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে বসেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ছাত্রদলের কাউকে ডাকা হয়নি। এরা দুইজন সিন্ডিকেট করে বলে দিলো, দুইদিন ক্লাস পরীক্ষা নাই, তাহলে হয়ে গেল?পিছন থেকে কারা এসব কলকাঠি নাড়ছেন, এসব আমরা তো বুঝি। ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী করতেছে?
উল্লেখ্য এর আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকে মামলা দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে পরদিনই কোর্ট থেকে হলফনামা দিয়ে নিজ জিম্মায় জামিনে মুক্ত করেন এই নেতা।
এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৪ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হন। উপাচার্যের বারবার অনুরোধেও অনশন ভাঙেনি শিক্ষার্থীরা। পরে সোমবার বিকাল পাঁচটায় সচিবালয়ের অবস্থান নেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে অংশ নেন পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। এদিন সন্ধ্যা ৭ টায় দাবি মেনে নেয়ার মন্ত্রণালয়ের লিখিত আশ্বাসে অনশন ভাঙেন তারা।
জেএন/এমএইচএস