তাবলীগের বিভেদ নিরসনে সচেতন ছাত্রসমাজের ৩ প্রস্তাব
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:০৩
তাবলীগ জামাতের বিভেদ নিরসনে সরকারের কাছে ইনসাফ ও ন্যায়ভিত্তিক স্থায়ী সমাধান চেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এ সময় তিনটি প্রস্তাবনার মাধ্যমে বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ‘সচেতন ছাত্রসমাজ’-এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি ৩টি প্রস্তাব রাখে। তাদের প্রস্তাবগুলো হলো, উভয় পক্ষকে তাদের সর্বোচ্চ আমল পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে, কাকরাইল মসজিদ, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানসহ দেশের প্রতিটি মসজিদে সমতার ভিত্তিতে তাবলীগ কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া উচিত ও উস্কানীমূলক বক্তব্য ও কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে এবং অতীতের অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিভেদ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে যার ফলশ্রুতিতে প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। যা দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই পরিস্থিতি শুধু তাবলীগ জামাতেরই ক্ষতি করছে না, বরং বৃহত্তর মুসলিম সমাজের ঐক্য ও সৌহার্দ্যকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
এ সময় তারা অভিযোগ করেন, ‘প্রধান মুরুব্বিদের আগমনে, কাকরাইল মসজিদ ব্যবহারে, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণে, ইজতেমার সময় বরাদ্দে, মসজিদকেন্দ্রিক আমলে বাধা প্রদান এবং পাঁচ দিনের জোড় আয়োজনে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে এক পক্ষ।’
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, যদি সরকার এসব প্রস্তাবনা কার্যকর না করে, তবে তারা পূর্বঘোষিত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি আরও জোরালোভাবে পালন করবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স ও ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ বিন মমিন বলেন, ‘কাকরাইল মসজিদ ব্যবহারে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। এতদিন যাবৎ সাদপন্থীরা ১৪ দিন ব্যবহার করতেন। এরপর জুবায়েরপন্থীরা ২৮ দিন ব্যবহার করতেন। এক পক্ষ ১৪ দিন ও অপর পক্ষ ২৮ ব্যবহারে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কাকরাইল মসজিদ বর্তমানে এক পক্ষ জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রেখেছে। যা বৈষম্যের চরম পর্যায়ের প্রতিফলন। আমরা চাই না মুসলমানদের ভিতর কোনো ঝগড়া ফ্যাসাদ হোক। এগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক।’
জান্নাতুন নাইম/এমজে