Logo

ক্যাম্পাস

ছাত্রদলের সভায় হট্টগোল-ভাঙচুর

Icon

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৮

ছাত্রদলের সভায় হট্টগোল-ভাঙচুর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদলের পরিচিতিমূলক সভায় দুটি গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে শাখা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মী এবং পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার জাবি ছাত্রদল কর্তৃক আয়োজিত পরিচিতিমূলক সভায় নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মী ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেসময় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন এবং কিছু সময় পর পুনরায় এসে সেমিনার কক্ষের সব লাইট বন্ধ করে দেন। তারা নবগঠিত কমিটিতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের পদপ্রাপ্তির অভিযোগ এনে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় সেমিনার কক্ষে উপস্থিত নেতাকর্মীরাও স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান।  

এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা সেমিনার কক্ষের বাইরে গিয়ে কাচের জানালা ভাঙচুর করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইট চালু করেন এবং সভা স্থগিত ঘোষণা করেন। এর পরই উভয় পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ও পদবঞ্চিত নেতা আব্দুল কাদের মারজুক বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট দানব শেখ হাসিনার স্টিমরোলার সহ্য করে গত এক যুগ ধরে আমরা যারা আন্দোলন করেছি তাদেরকে বঞ্চিত করে যে পকেট কমিটি হয়েছে, সেই কমিটি মানি না। আমাদের অনেককে বঞ্চিত করা হয়েছে, অথচ পাঁচ আগস্টের পরও প্রোগ্রাম করেনি এমন অনেকের নামও এসেছে এই কমিটিতে। এই কমিটি কীভাবে সভা-সমাবেশ করতে হয় তাও জানে না, আমরা এসেছিলাম এগুলো নিয়ে কথা বলতে; কিন্তু এই কমিটি এতোটাই অযোগ্য যে, তারা এই পরিবেশটাও তৈরি করে দিতে পারেনি।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘আমাদের একটি কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ছিলো যে, নতুন কমিটির সবাইকে নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক পরিচয় পর্বের আয়োজন করার। সেই লক্ষ্যে আমরা আজকের প্রোগ্রামটি আয়োজন করেছিলাম, এখানে মূলত যারা নতুন কমিটিতে আছে আমরা তাদেরকেই ইনভাইট করেছিলাম। কিন্তু এখানে এরকম কয়েকজন উপস্থিত ছিল যাদের নাম-পরিচয় আমরা জানি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি গুপ্ত সংগঠনের ইন্ধনে তারা আমাদের প্রোগ্রাম বানচালের চেষ্টা করেছে। এখানে একটা অংশ ছিল যারা বিরোধী রাজনীতি করেছে, যাদের মধ্যে একটা না পাওয়ার বেদনা ছিল, আমরা সেই বেদনাটা কমিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। আমরা সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করার চেষ্টা করছি। আমরা মনে করি তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে আজকের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের বড় একটি কমিটি হয়েছে, এই কমিটির সবার ডিটেইলস আমাদের কাছে এখনও নাই। আমাদের কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যদি এই কমিটির কারো সঙ্গে ছাত্রলীগ বা ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে তাদেরকে অব্যহতি দেওয়া হবে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘যে ঘটনাটি ঘটেছে তা আসলেই কাম্য নয়। আমরা চাই সবাই সুন্দরভাবে সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করুক। ছাত্রসংগঠনগুলো পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করুক। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েই লাইটের (আলো) ব্যবস্থা করেছি। আশা করব কেউ রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট না করার ব্যাপারে সচেতন থাকবে।’

আমানউল্লাহ খান/এটিআর


Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর