বাকৃবিতে ৩ উপাচার্য ও প্রাণিসম্পদ ডিজিকে সংবর্ধনা
বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৩
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের পক্ষ থেকে তিনটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে (ডিজি) সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপ্লেক্সে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন।
এ সময় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানকে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে ভূমিকা রাখার জন্য সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনাপ্রাপ্ত সকলেই বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ১৯৮৩ সালে বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদ হতে ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রি অর্জন করেন। তার ব্যাচে পঞ্চম স্থান অর্জন করেন তিনি। অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ১৯৯৪ সালে বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে কৃতিত্বের সাথে ডিভিএম ও ১৯৯৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জনসহ চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক লাভ করে মাস্টার অব সাইন্স ইন ফার্মাকোলজি ডিগ্রি অর্জন করেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে ১৯৯৯ সালে ডিভিএম ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যানাটমি এবং হিস্টলজি থেকে ২০০১ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান ১৯৯৫ সালে বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে প্রথম শ্রেণীতে তৃতীয় হয়ে ডিভিএম ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অফ সার্জারি এন্ড অবস্ট্রেটট্রিকস থেকে ১৯৯৯ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, সত্যবাদিতা, দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে উপাচার্যের দায়িত্ব কঠিন কিছু নয়। দেশের সকল ভেটেরিনারিয়ানের লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের মানুষের সেবা করা। বিশেষ করে দেশের কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করা উচিত। এ লক্ষ্য পূরণে কোয়ালিটি গ্র্যাজুয়েট তৈরির বিকল্প নেই। তাই কোয়ালিটি গ্র্যাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে জাতির সেবায় উপাচার্যদের এগিয়ে আসা উচিত।
আশিকুজ্জামান/এমবি