রাবিতে কলেজ শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৯
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কলেজ শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রাজশাহীর বিনোদপুর বাজারে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
এসময় ‘জ্বালরে জ্বাল, আগুন জ্বাল’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রাশাসন বিচার চাই’, ‘আয় রাবি দেখে যা, রাস্তা তোর বাপের না’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, বহিরাগত জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’— প্রভৃতি স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
নিহতের বন্ধু শ্রাবণ বলেন, ‘আমার বন্ধুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের সামনে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। আমাদের টোকাই বলা হয়, বহিরাগত বলা হয়, চার বছরের জন্য পড়াশোনা করতে আসে ওরা। আমরা স্থানীয় বলে আমাদের বহিরাগত, টোকাই বলা হয়। যতদিন পর্যন্ত বিচার না হয় ততদি আমরা রাজপথে থাকব।’
আন্দোলনকারী ও রাজশাহী কলেজর শিক্ষার্থী আলি হাসান বলেন, ‘যদি ক্যাম্পাসে স্থানীয় ছেলেরা যায় তখনই প্রতিবাদ হয় যে ওরা কেন! কিছুদিন আগে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছেলে ঢুকছে, তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। যেটা মোটেও কাম্য না। আমরা চাই সুষ্ঠু একটা বিচার হোক। আমার অন্য কোনো ভাই যেন আর না মরে।’
আন্দোলনকারী সুজন বলেন, ‘আমরা জানি একজন শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর; কিন্তু তিনি শিক্ষক হয়ে নিজে তার ছাত্রদের উস্কানি দিয়ে আমাদের এক ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন এবং এটাকে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা এই মিথ্যার প্রতিবাদ জানাই এবং যতক্ষণ না জড়িতদের আইনের আওতায় আনা না হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে রাবি ক্যাম্পাসে শিমুল শিহাব নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু নাকি মারধরে মারা গেছেন, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনো।
পুলিশ বলছে, ‘নিহতের পরিবার মৌখিকভাবে দাবি করছে তাকে মারধর করে মারা হয়েছে।’ তবে লাশে কোনো মারধর, ছেড়া-ফাটা কিংবা ক্ষতের দাগ পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ। তাই সুনির্দিষ্টভাবে এখনো কিছু বলতে পারছেন না তারা। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কামরুজ্জামান ফাহাদ/ এটিআর