Logo

ক্যাম্পাস

জবিতে সীমিত বাজেটেও উৎসবমুখর সরস্বতী পূজা

Icon

জবি প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:২৪

জবিতে সীমিত বাজেটেও উৎসবমুখর সরস্বতী পূজা

চারিদিকে ঢাক-ঢোলের বাজনা, বাজছে শাখ ধ্বনি। চলছে পূজা-অর্চনা। কেউ কেউ প্রার্থনা জানিয়ে দেবীর পায়ে দিচ্ছেন পুষ্পার্ঘ্য। বিদ্যার দেবীকে ঘিরে শত ব্যস্ততা বিদ্যানুরাগী শিক্ষার্থীদের।

আজ সোমবার সরস্বতী পূজা। ৩৯টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পূজা উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বর, শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে, কাঁঠালতলা, মুক্তমঞ্চ, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, সাইন্স ফ্যাকাল্টি ও রফিক ভবনে করা হয়েছে মণ্ডপগুলো। সকাল থেকে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায় এই চিত্র।

গত বছরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরস্বতী পূজার উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে। তবে এ বছর পূজায় বিশ্ববিদ্যালয়ে জাঁকজমক ও উৎসবমুখরতা কম ছিল। কিন্তু দুপুরের পর উৎসবমুখর হতে থাকে ক্যাম্পাসের পরিবেশ। বাজেট অনেক কম পেয়েছেন পূজার আয়োজক শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ক্যাম্পাসে পূজার ঐতিহ্য ধরে রাখতে বাজেট সীমিত হওয়ার পরও নিজেরা চাঁদা তুলে করেছেন পূজার আয়োজন। 

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অর্ক চক্রবর্তী বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার বাজেট সীমিত। বাজেট সীমিত হওয়ায় চাঁদা তোলা হয়েছে। তবে আয়োজনটা ভালো হয়েছে।’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উপমা মন্ডল বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘এ বছর বাজেট কম পেয়েছি। গত বছর ১৩ হাজার বাজেট ছিল। কিন্তু এবার বাজেট পেয়েছি মাত্র পাঁচ হাজার। আয়োজনের বেশিরভাগই নিজেদের চাঁদা দিয়ে করেছি।’

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজেট কম হলেও এ বছর আয়োজনটা ভালো হয়েছে। সবকিছু নিজে হাতে করেছি। এ জন্য ভালো লাগছে।’

একই বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হরিদাস পাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বিভাগের আয়োজনে প্রথম সরস্বতী পূজা উদযাপন করছি। অনেক ভালো লাগছে এই আয়োজন। বাড়িতে একসাথে করা হলেও এখানে অনেকগুলো মণ্ডপে পূজার আয়োজন খুব ভালো লাগছে।’

কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে কাজেট কম দেওয়া হয়েছে। তবে এই সীমিত বাজেট পূজার আয়োজনে তেমন প্রভাব ফেলেনি।’

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বছর ক্যাম্পাসে পূজার জাঁকজমকতায় কমতি রয়েছে। সকালের দিকে দর্শনার্থীরা কম থাকে। তবে আমি ধারণা করছি, প্রতি বছরের ন্যায় বিকালের দিকে উৎসবমুখরতা বাড়বে। বিকালের দিকে অনেক দর্শনার্থীরা আসেন পূজার মণ্ডপ পরিদর্শনে।’

পূজার নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে দেখা যায় পুলিশ। এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও অবগত করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের সব সিসিটিভি ক্যামেরাও সচল করা হয়েছে।’

জান্নাতুন নাইম/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর