নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কুয়াশা উৎসব

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১১

শিশিরের মতো নির্মল হওয়ার আহ্বান নিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী কুয়াশা উৎসব-১৪৩১।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ‘শিশিরের মতো নির্মল হও প্রাণ, কুয়াশায় ভিজে মুক্ত অনির্বাণ’ —এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে রাগ সংগীত ও পিঠা-পুলির আসরের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। চতুর্থবারের মতো আয়োজিত এই উৎসবে মেতে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা।
২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো কুয়াশা উৎসবের পরিকল্পনা করেন শিক্ষার্থীরা। মাঝখানে করোনা মহামারির কারণে দুই বছর উৎসব বন্ধ থাকলেও ২০২৪ সালে এটি পুনরায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়। তবে এবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় খেলার মাঠের পরিবর্তে চুরুলিয়া মঞ্চ, নজরুল বেদি, জয়ধ্বনি মঞ্চ ও ক্যাম্পাসের সড়কজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উৎসবের আয়োজন।
এবারের কুয়াশা উৎসবে আছে চিত্রকলা, চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, লোকনৃত্য, সাহিত্য আলোচনা, রাগ সংগীত, অভিক নৃ, ঘাটু গান, রস উৎসব, পিঠা-পার্বণসহ নানা আয়োজন। কোনো স্পন্সর ছাড়াই শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতায় উৎসবটি পরিচালিত হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, উৎসবের রঙে সেজেছে পুরো এলাকা। চুরুলিয়া মঞ্চে চলছে সাহিত্য আড্ডা ‘ভয়’। আড্ডায় অংশ নেন লেখক ও গায়ক অরুপ রাহী, লেখক ও শিক্ষক উম্মে ফারহানা এবং রবীন্দ্র কুমার রায়।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী তুলি শাহনাজ বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা এই উৎসবের জন্য অপেক্ষা করি। এটি আমাদের প্রাণের আয়োজন। প্রতিবছর এভাবে কুয়াশা উৎসব পালিত হোক।’
চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী অরিন সাহা জানান, ‘শিক্ষার্থীদের আয়োজন ও অর্থায়নেই কুয়াশা উৎসব আয়োজন করা হচ্ছে। এটি কেবল উৎসব নয়, আমাদের ঐক্যেরও প্রতীক।’
ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা মনোজ কুমার প্রামাণিক বলেন, ‘কোনো স্পন্সর ছাড়াই শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও আমাদের সহযোগিতায় কুয়াশা উৎসবের আয়োজন সম্ভব হয়েছে। এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বাইরের দর্শনার্থীরাও এতে যোগ দিচ্ছেন।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। এই উৎসব যেন সবার মধ্যে মিলনমেলা ও ভাতৃত্ববোধ গড়ে তোলে এবং ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা করে, সেই কামনা করছি।”
মো.সাইফুল ইসলাম/এটিআর