উপকূলীয় জীবনের গল্প
ড্যাফোডিলে শুরু হচ্ছে কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যাল

ডিআইইউ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫২
-67ae314327545.jpg)
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যাল (সিডিএসটিএফ)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির বট কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফেস্টিভ্যালের বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়। আয়োজকরা জানান, আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি (সোম ও মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স রুমে এই ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে।
ফেস্টিভ্যালের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘উপকূলীয় জীবন’। যেখানে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা, সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও টিকে থাকার লড়াই তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া ফেস্টিভ্যালের অংশ হিসেবে ১৯ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) মিরপুর-১-এর স্টার সিনেপ্লেক্সে নির্বাচিত চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, এবারের আসরে ১৮টি দেশ থেকে ১৫৩টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। ফেস্টিভ্যালে চারটি বিভাগ রাখা হয়েছে— স্বাধীন চলচ্চিত্র, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি, এক মিনিটের চলচ্চিত্র ও সাংবাদিকতা বিভাগ। এসব বিভাগের সেরা নির্মাতাদের জন্য মোট ৪০,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক আফতাব হোসেন বলেন, এই উৎসবের উদ্দেশ্য সমাজের জন্য কাজ করা। ধীরে ধীরে আমরা সেটি বাস্তবায়ন করছি। ইতোমধ্যে এই প্রকল্প সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, ভবিষ্যতে এটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সিডিএসটিএফ’র আহ্বায়ক ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাবিল খান জামিল বলেন, সিডিএসটিএফ বাংলাদেশের প্রথম জনঅর্থায়ন ভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসব। এটি এ পর্যায়ে আনতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এবারকার আয়োজন প্রথম আসরকে ছাড়িয়ে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা আরও জানান, এবারের বিচারক প্যানেলে রয়েছেন চ্যানেল ২৪-এর ব্রডকাস্ট সাংবাদিক ও কনটেন্ট নির্মাতা আশ্বাস এম এ চৌধুরী, চলচ্চিত্র পরিচালক রাকা নওশিন নওয়ার এবং অস্ট্রেলিয়ার সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. ম্যাক্স শ্লেসার।
উৎসবের সমন্বয়ক নাঈম হাসান রিদয় বলেন, এই উৎসব প্রমাণ করছে যে, আবেগ ও দলবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেক বড় কিছু অর্জন সম্ভব।
এই আয়োজনকে সফল করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স, কাজি অ্যান্ড কাজি টি, ওয়ান্ডারওয়ে ট্রাভেলস, এক্সপার্ট কম্পিট ডিভাইস কেয়ার, জেসিআই বরিশাল, লিলি বেলি, প্রথম আলো ডটকম, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ফিল্ম সোসাইটি ও অস্ট্রেলিয়ার সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি।
উৎসব সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন, কমিউনিটির গল্প বলা ও উপকূলীয় জীবন তুলে ধরার এই আয়োজন আগামীতে আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
পারভেজ মোশারফ/বিএইচ