Logo

ক্যাম্পাস

২ বছর পর ভর্তির টাকা ফেরত পাবে মাইগ্রেশন হওয়া শিক্ষার্থীরা

Icon

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:৪৭

২ বছর পর ভর্তির টাকা ফেরত পাবে মাইগ্রেশন হওয়া শিক্ষার্থীরা

দীর্ঘ দুই বছর অপেক্ষার পর অবশেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি ফি ফেরত পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মাইগ্রেশন হওয়া শিক্ষার্থীরা। দুই বছরের দীর্ঘসূত্রিতার পর টাকা ফেরতের সুযোগ পেলেও নানা ধরনের কাগজপত্র সংগ্রহ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আবেদন জমা দেওয়া এবং অপেক্ষার প্রহর গোনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন।

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে যারা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্তভাবে ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু পরে গুচ্ছভুক্ত অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেছেন, তারাই আবেদন করতে পারবেন ভর্তি ফি ফেরত পাওয়ার জন্য। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখের মধ্যে আবেদন করা যাবে। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত পাঠানো হবে। চূড়ান্ত ভর্তির সময় ভর্তি ও আনুষঙ্গিক ব্যয়, হল ও বিভাগ কর্তৃক আদায়কৃত ফি হিসেবে প্রায় ১৬৩৪০ টাকা প্রদান করতে হয়েছিল।

ফি ফেরত পেতে শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্রের সঙ্গে যে নথিগুলো জমা দিতে হবে, তার মধ্যে রয়েছে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার রঙিন অ্যাডমিট কার্ডের ফটোকপি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তির সময় ব্যাংকে জমা দেওয়া রশিদের মূল কপি, বর্তমানে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত ভর্তির ব্যাংক রশিদের ফটোকপি, শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর ও বিকাশ পার্সোনাল নম্বর।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়। এরপর ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রমও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু দুই বছর পার হলেও ভর্তি ফি ফেরতের অপেক্ষায় ছিলেন মাইগ্রেশন হওয়া শিক্ষার্থীরা।

বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা অনেক আগেই ভর্তির টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন আবার নতুন করে আবেদন করতে বলা হচ্ছে, যা তাদের জন্য বাড়তি ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইগ্রেশন হওয়া শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুই বছর আগে ভর্তি হয়েছিলাম, তারপর মাইগ্রেশন হয়ে চলে গেছি। তখনই টাকা ফেরত দেওয়া যেত। এখন আবার নতুন করে আবেদন করতে হবে, কাগজপত্র জমা দিতে হবে, অথচ টাকা কবে ফেরত পাব সেটাও নিশ্চিত না।

আরেক শিক্ষার্থী জানান, অনেকেই ভর্তি রশিদ হারিয়ে ফেলেছেন। এখন তারা কীভাবে টাকা ফেরত পাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৩ মার্চের পর আর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন না করলে শিক্ষার্থীরা ভর্তি ফি ফেরত পাওয়ার সুযোগ হারাবেন। আবেদন গ্রহণের পর যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রকাশ করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://nuadmission.online/)। তারপর শিক্ষার্থীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা ফেরত পাঠানো হবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি, যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

মো. সাইফুল ইসলাম/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর