একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের স্মরণ করল কুবি পরিবার

কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০০

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের স্মরণ করল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) পরিবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী।
এর আগে কার্যক্রমের শুরুতে পৌনে ১১টার দিকে গোলচত্বর থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে শহীদ মিনারে শেষ হয়। ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, এরপর হল ও বিভাগসমূহ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সবশেষে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনসমূহ শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এসময় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এম. এম. শরিফুল করিম, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসানসহ বিভিন্ন অনুষদর ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, নিজের মতো করে কথা বলার জন্য যুগে যুগে আন্দোলন হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের কড়াল থাবায় আমাদের মতপ্রকাশ দাবিয়ে রেখে ছিল। আমাদের আব্দুল কাইয়ুমসহ হাজারো ছাত্র জনতার জীবন দিতে হয়েছে। যুগে যুগে যারা জীবন দিয়েছে। তাদের স্বপ্নকে লালিত করার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। এখানে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীকে সপথ নিতে হবে স্বাধীন বাংলা উপহার দিতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে সবার মাঝে যে চরম উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখেছি এটা দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি। নিজের ভাষায় কথা বলার জন্য রক্ত দিয়েছে এমন জাতি পৃথিবীতে একটাই আছে। এজন্য সারা পৃথিবীর মানুষ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে মেনে নিয়েছে। জুলাই বিপ্লবেও অসংখ্য মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এই আত্মত্যাগের উদ্দেশ্য হলো একটাই জনহিতকর সরকার। যে কারণে বাংলার মানুষ বারবার জীবন দিয়েছে তার মূল উদ্দেশ্য হলো যত অনিয়ম আছে তা দূর করা।
ভাষা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যাদের আত্মত্যাগের কারণে মাতৃভাষা পেয়েছি তাদের সকলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। একইসঙ্গে যারা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দিয়েছে তাদেরও আত্মার দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করছি।