Logo

রাজধানী

ডাকাত ধরায় পুলিশকে সহায়তা, ‘নিয়োগ’-সহ পুরস্কার পাচ্ছেন ৫ শ্রমিক

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৫:৪০

ডাকাত ধরায় পুলিশকে সহায়তা, ‘নিয়োগ’-সহ পুরস্কার পাচ্ছেন ৫ শ্রমিক

রাজধানীতে ডাকাত ধরায় পুলিশকে সহযোগিতা করে পুরস্কার পাচ্ছেন পাঁচ শ্রমিক। একই সঙ্গে তাদের পুলিশের অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবেও নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে তাদের পুরস্কৃত করার কথা জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি, মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

ধানমন্ডিতে ‘অলংকার নিকেতন’ জুয়েলার্সের মালিক এম এ হান্নান আজাদের বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে আটকের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  

এর আগে বুধবার ভোরে ধানমন্ডিতে ‘অলংকার নিকেতন’ জুয়েলার্সের মালিকের বাসায় র‌্যাব, ম্যাজিস্ট্রেট ও ছাত্র পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় পাশের নির্মাণাধীন ভবনের পাঁচজন শ্রমিক ‘জীবনবাজি’ রেখে চার ডাকাতকে ধরে ফেলেন। পরে আরও দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তালেবুর রহমান বলেন, ‘ধানমন্ডিতে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদের প্রতিরোধ করা এবং তাদের ধরতে সহায়তা করায় পাঁচজন শ্রমিকের নাম পাওয়া গেছে। সাহসিকতার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী পাঁচ শ্রমিকের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া এই পাঁচজনকে অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।‘

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকার নিরাপত্তা পরিদর্শনে মাঝেমধ্যেই বের হচ্ছেন। এর মধ্যে চেকপোস্ট-টহল জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু বাসা-বাড়িতে এভাবে ডাকাতির ঘটনা মাঝেমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। এটি গোয়েন্দা ব্যর্থতা না কি চেকপোস্ট-টহলে যারা দায়িত্বরত তাদের গাফিলতি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চলমান রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ডিএমপি বিস্তারিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ সময় টহল জোরদার, কৌশলগত জায়গায় তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া দু’একটি যে ঘটনা ঘটছে সেগুলোর সঙ্গে সঙ্গে উদঘাটন করে আসামি গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। এর মধ্যে কেউ যদি অপরাধ করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এরই মধ্যে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো উদঘাটন করা হয়েছে।‘

র‌্যাব, ম্যাজিস্ট্রেট ও ছাত্র পরিচয়ে এমন দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় নগরবাসী কীভাবে বুঝবে কোন অভিযান ভুয়া আর কোন অভিযান সত্য- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডির ডাকাতির ঘটনায় সেখানকার বাসার মালিক ৯৯৯-এ কল করেন। এরপর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ যায়। আমরা জনগকে বারবার অনুরোধ করছি, আপনাদের সামনে যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯-এ কল করবেন।’

অপর এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘ডাকাতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ডাকাতিতে তাদের ২৫ থেকে ৩০ জনের টিম জড়িত। তাদের মূল পরিচয় উদঘাটন করে বিস্তারিত জানানো হবে। প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার ছয় ডাকাত এলোপাতাড়ি তথ্য দিয়েছেন, তাদের রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

এনএমএম/এমজে/এমআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর