আ.লীগ নেতা শিমুকে গ্রেপ্তারে ভিন্ন কৌশলে এগোতে চায় পুলিশ

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৭:৩৪
-67dc208e109fd[1]-67e537bb3f6bb.jpg)
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমান ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুদ্দোহা শিমুকে গ্রেপ্তারে ভিন্ন কৌশলে এগোতে চাইছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরইমধ্যে শিমুর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা ও সরকারবিরোধীদের যোগাযোগের তথ্য মিলেছে। বৃহস্পতিবার পুলিশের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
তারা বলছে, শিমু একদিকে আবদুর রহমানের ঘনিষ্ঠ অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে নানান ষড়যন্ত্রেও জড়িত। তার সঙ্গে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমানের যোগাযোগ রয়েছে। তাছাড়া দেশকে অশান্ত করতে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে যারা গুজব ছড়াচ্ছে এবং গুজবকারীদের মদদ দিচ্ছে তাদের সঙ্গেও শিমুর যোগসূত্রতা রয়েছে। শিমুর এসব কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও সরকারবিরোধীদের যোগাযোগ রাখছে, সেটা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইফতেখার হাসান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট বছিলা ব্রিজের সন্নিকটে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে গুরুতর জখম ইস্যুতে হুকুমের আসামি এই শিমু। তিনি এই মামলার এহাজারনামীয় ৩৮ নম্বর আসামি। তাকে ধরতে পুলিশ গোয়েন্দা নজরদারি চালাচ্ছে। এরইমধ্যে এই মামলায় অনেক আসামি গ্রেপ্তার আছেন। শিমুর বর্তমান অবস্থা শনাক্তে আমরা কাজ করছি। তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে ৮ মার্চ রাতে শিমুকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তারে যায় পুলিশ। কিন্তু তার বাড়ির দারোয়ান এবং স্ত্রী-কন্যার মাধ্যমে আসামি পুলিশের কাজে বারবার বাধার সৃষ্টি করে। পরে আলো নিভিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় শিমু। বর্তমানে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, শাহজালাল ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা শিমু বিভিন্ন সময়ে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে ছিলেন। বর্তমানে তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে শিমু আবদুর রহমানের পক্ষে ফরিদপুর-১ আসনে ব্যাপক তৎপরতা চালান। শিমু নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং দুজনে একসঙ্গে তোলারাম কলেজে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। তাকে সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ঘনিষ্ঠভাজন হিসেবেও অনেকে জানেন। তার অবৈধ টাকার একটি অংশ শিমুর কাছে রক্ষিত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই টাকায় ভাটারার সাঈদনগর হাউজিং এলাকায় সুবিশাল ভবন নির্মাণ করেছেন।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, ‘আসামি খোঁজার পদ্ধতি অনুযায়ী সম্ভাব্য সকল ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছি। পুলিশের পাশাপাশি একাধিক সংস্থা তার অবস্থান জানতে কাজ করেছে। শিমু যেন বিদেশে পালাতে না পারেন সেজন্য বিমানবন্দরে ও স্থল সীমান্তগুলোতে তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়েছে।’